খুচরো সমস্যায় নাকাল হচ্ছেন দোকানিরা। বিশেষ করে ছোট এবং মাঝারি দোকানগুলির হাল শোচনীয় হয়ে পড়েছে। দোকানদারদের অভিযোগ, খদ্দেররা খুচরো পয়সা দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে পণ্য কিনলেও সেই পয়সা তাঁরা মহাজনদের দিতে গেলে তাঁরা তা নিচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্কও তাঁদের কাছ থেকে খুচরো পয়সা জমা নিতে চাইছে না বলে দোকানিদের অভিযোগ। মূলত মুদির দোকান, মনোহারি প্রভৃতি ছোট দোকানেই এই সমস্যা প্রকট বলে জানা গিয়েছে।
শ্যামপুরের ভগবানপুরে মুদির দোকান আছে প্রশান্ত ঘড়ুই নামে এক যুবকের। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে খুচরোর বিনিময়ে খদ্দেররা বিভিন্ন জিনিস কিনছেন। কিন্তু সেই খুচরো আমার কোনও কাজে লাগছে না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমার কাছে প্রায় ৩০ হাজার টাকার খুচরো পয়সা জমে আছে। তা নিয়ে কী করব বুঝতে পারছি না। এদিকে এত টাকা জমে যাওয়ায় আমার ব্যবসার মূলধনে টান পড়েছে।’’ পাশের গ্রাম মোল্লায় স্কুলের সামনে ছোট খাবারের দোকান চালান স্বপন মাইতি। শ্যামপুরে ব্যাগের দোকান আছে প্রভাস মুলার। খুচরো নিয়ে সঙ্কটে পড়েছেন তাঁরাও। প্রভাসবাবু বলেন, ‘‘অন্তত ২৫ হাজার টাকার খুচরো জমে আছে আমার কাছে। মহাজনেরা নিতে চাইছে না। ব্যাঙ্কও নিতে রাজি হচ্ছে না। আমরা কী করব?’’
নোট বন্দির সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একদিকে যেমন প্রচুর খুচরো বাজারে জোগান দেয়। তেমনই গৃহিণীরাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভেঙে তাঁদের কর্তাদের হাতে তুলে দেন খুচরোর সমস্যা মেটাতে। পরে ব্যাঙ্ক থেকে নোটের জোগান স্বাভাবিক হয়ে গেলেও খুচরো থেকেই যায়। আর সেটাই এখন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ছোট দোকানদারদের কাছে। প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘একটা সময়ে ১০ টাকা বাটা দিয়ে আমাদের নোট ভাঙাতে হত। এখন খুচরোর বদলে নোট নিতে গিয়ে আমরা বাটা দিতে চাইছি। তাতেও সমস্যা মিটছে না। কী করব বুঝতে পারছি না।’’ দোকানদারদের প্রশ্ন ব্যাঙ্কগুলি তাঁদের খুচরো নিতে বাধ্য করলেও তাঁরা যখন ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাচ্ছেন তখন ব্যাঙ্ক নিতে রাজি হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলির তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, গোনার সমস্যার কারণেই খুচরো নেওয়া যাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy