আরপিএফের হেনস্থার প্রতিবাদে সোমবার কোন্নগর স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন ট্রেনের হকাররা। কিছু ক্ষণ রেল অবরোধও করেন তাঁরা। রেল এবং জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্রেনে বিভিন্ন জিনিস ফেরি করার সময় আরপিএফের কর্মীরা তাঁদের হেনস্থা করেন। গত শুক্রবার আরপিএফের হাত থেকে পালাতে গিয়ে প্রদীপ দাস নামে এক হকার ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান বলে অভিযোগ। এর পরেই হকাররা একজোট হন। এ দিন শতাধিক হকার কোন্নগর স্টেশনের আপ প্ল্যাটফর্মে জড়ো হন। সেখানে মৃত হকারের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। হকাররা সিদ্ধান্ত নেন, হাওড়ার ডিআরএমের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা জানাবেন।
ইতিমধ্যেই ওই আন্দোলনে সামিল হতে জেলা বিজেপি সভানেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু তাঁদের আন্দোলনে রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ কেন থাকবে, এই প্রশ্নে হকারদের দু’পক্ষের মধ্যেই গোলমাল বেধে যায়। দুই মহিলা হকার অভিযোগ তোলেন, তৃণমূলপন্থী দুই হকার গাছের ডাল দিয়ে তাঁদের মারধর করেছেন। পুলিশ গোলমাল থামায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরপিএফের অফিসাররা হকারদের হেনস্থার অভিযোগ মানেননি।
কৃষ্ণাদেবী বলেন, ‘‘আন্দোলন বানচাল করতে তৃণমূলের লোকেরা হকারদের গায়ে হাত তুলেছে। জোর করে হকারদের রেল লাইনে বসিয়ে দিয়েছে ওরা। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হকারদের নিয়ে আন্দোলন করব।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা অশোক মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘বিজেপি নেত্রী ঘোলা জলে মাছ ধরছেন। হকারদের পাশে তো আমরা থাকি, ওরা নয়। কেউ কারও গায়ে হাত দেয়নি। আন্দোলন বানচাল করতে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy