মাস আটেক আগে কর্মরত অবস্থায় ভ্রমণভাতা নিয়ে দুর্নীতর অভিযোগ উঠেছিল পুরশুড়ার এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। যিনি আবার তৃণমূলের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী সমিতির হুগলি জেলা সভাপতিও। রণজিৎকুমার সাহা নামে ওই ব্যক্তি সম্প্রতি অবসর নেন। কিন্তু অভিযোগের তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি হিসাবে ১ বছরের অবসর ভাতার ৫ শতাংশ কেটে নেওয়ার সাজা দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
২০১৫ সালের অগস্ট মাসে পুরশুড়া ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের স্যানিটারি ইনস্পেক্টর রণজিৎকুমার সাহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আনন্দবাজারে সেই খবর প্রকাশিত হয় গত ২৪ অগস্ট। নভেম্বরের ৯ তারিখে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর কমিটি গড়ে রণজিৎবাবুর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তদন্ত চলাকালীন অবসরের বয়স হয়ে যাওয়ায় গত ৩০ নভেম্বর রণজিৎবাবু অবসর নেন। কয়েক দফা তদন্তের পর গত ১০ মার্চ রণজিৎবাবুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ১৮ মার্চ তাঁকে ডাকযোগে জানিয়ে দেওয়া হয়, শাস্তি হিসাবে তাঁর এক বছরের অবসরকালীন ভাতা থেকে ৫ শতাংশ করে টাকা কেটে নেওয়া হবে। এই বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে রণজিৎবাবুকে তাঁর বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি তা না জানালে আগের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে শাস্তি দেওয়া নিয়ে রণজিৎবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রণজিৎবাবু ২০১৫ সালের মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভ্রমণভাতার বিল করে আরামবাগ মহকুমা ট্রেজারি দফতরে জমা দেন। বিলে অসঙ্গতি আছে জানিয়ে বিলটি পুরশুড়ার তৎকালীন বিএমওএইচ অ্যাপেলো বসুর কাছে ফেরত পাঠান মহকুমার ট্রেজারি অফিসার সোমনাথ দে।
ভ্রমণভাতায় দেখা যাচ্ছিল মোট ২৭ দিনই ১৩৫ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছেন রণজিৎবাবু। কোনও দিন চুঁচুড়া, কোনও দিন স্বাস্থ্যভবন এবং কোনও দিন এজি বেঙ্গল। এ জন্য মোট ভ্রমণভাতা দাবি করেন ৪ হাজার ৭৮৪ টাকা। কিলোমিটার এবং টাকার অঙ্ক ছাড়াও প্রশ্ন উঠেছিল একজন স্যানিটারি ইনস্পেক্টর স্তরের কর্মীর স্বাস্থ্যভবন বা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে যাওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy