প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উচ্চশিক্ষাই কি একমাত্র পথ? না কি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণেও গড়ে নেওয়া যায় ভবিষ্যৎ? এ বার ছাত্রছাত্রীদের সেই দিশা দেখাবে সংশ্লিষ্ট স্কুলই। সে লক্ষ্যেই রাজ্যের প্রতিটি হাইস্কুলে তৈরি হচ্ছে ‘কেরিয়ার হাব’। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের সময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শেখানো হচ্ছে, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য কী ভাবে কাউন্সেলিং করা উচিত।
‘কেরিয়ার হাব’ গড়া হচ্ছে ‘রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা মিশন’ প্রকল্পে। এর জন্য সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকারই। প্রতিটি হাইস্কুলে পৃথক একটি বিভাগ তৈরি করতে হবে। পৃথক ঘরে সাজানো থাকবে তথ্য-চার্ট এবং ডায়াগ্রাম।
কী ভাবে হবে এই কাউন্সেলিং? রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, যদি ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার পথে যেতে চায়, তবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী বিষয় পড়ানো হয়, সেখানে কী ভাবে দরখাস্ত করতে হয়, ভর্তির কী প্রক্রিয়া, প্রবেশিকা পরীক্ষা-সহ সব রকমের খুঁটিনাটি তথ্য জানানো হবে তাকে। একই ব্যবস্থা থাকবে বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রেও।
সর্বশিক্ষা মিশনে যেমন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলছুট আটকানোর ব্যবস্থা ছিল, ‘রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা মিশন’ প্রকল্পেও তেমন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে ছাত্রছাত্রীরা যাতে দিক্ভ্রান্ত না হয় তার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।
হাওড়া জেলায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ৩ জুলাই থেকে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্কুলের বাছাই করা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতর। প্রশিক্ষণ হচ্ছে বিষয়ভিত্তিক। যেমন, ৩ জুলাই থেকে ইংরেজি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ চলছে। এর পরে প্রশিক্ষণ হবে গণিতের শিক্ষকদের। সবশেষে হবে প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণরত এক শিক্ষকের কথায়, “ইংরেজি নিয়ে যদি কোনও ছাত্র উচ্চশিক্ষায় যেতে চায়, তা হলে সে বিষয়ে তার প্রাথমিক যোগ্যতা আছে কি না, ভবিষ্যতে সে এ বিষয়ে পড়াশোনা করে পেশাগত ভাবে কতটা উন্নতি করতে পারবে, কোন কলেজে কী ভাবে ভর্তি হতে পারবে, সে সব বিষয়েই কাউন্সেলিং চলছে।”
অনেক স্কুল ইতিমধ্যেই ‘কেরিয়ার হাব’ গড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। পাঁচলার গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শঙ্কর খাঁড়া বলেন, “কেরিয়ার হাব গড়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যে একটি ঘর নির্দিষ্ট করেছি। প্রশিক্ষণ হয়ে গেলেই কাউন্সেলিংয়ের কাজ শুরু হবে। রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা মিশন প্রকল্প থেকে চার্ট, ডায়াগ্রাম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy