Advertisement
E-Paper

স্কুলের জন‌্য স্পেশাল বাস

পর পর দু’টি আপ রাজধানী। আর শতাব্দী। দূরপাল্লার এই তিনটি ট্রেন হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার বারুইপাড়া স্টেশনের উপর দিয়ে যখন বেরিয়ে যায়, তখন স্কুল-টাইম। মাঝেমধ্যেই এই তিনটি ট্রেন ‘পাস’ করাতে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট ফেলে রাখা হয় দীর্ঘক্ষণ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০১:৪২

পর পর দু’টি আপ রাজধানী। আর শতাব্দী। দূরপাল্লার এই তিনটি ট্রেন হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার বারুইপাড়া স্টেশনের উপর দিয়ে যখন বেরিয়ে যায়, তখন স্কুল-টাইম। মাঝেমধ্যেই এই তিনটি ট্রেন ‘পাস’ করাতে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট ফেলে রাখা হয় দীর্ঘক্ষণ। তার ফলে বাস-ট্রেকার না পেয়ে প্রায়শই স্কুলে পৌঁছতে পারে না ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলেন বাসমালিকেরা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, লেভেল ক্রসিঙের কিছুটা আগে থেকে স্কুলপড়ুয়াদের জন্য ‘স্পেশাল’ বাস চালানো হবে। শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া রুটের উপর মিল্কি বাদামতলা, ঝাঁকারি, কলতলা, বড়বেলু, দত্তবাগান-সহ আশপাশের নানা জায়গা থেকে বহু ছেলেমেয়ে শ্রীরামপুর শহরের বিভিন্ন স্কুলে পড়তে যায়। কোনও স্কুল নওগার মোড়ে, কোনও স্কুল বটতলা বা আদালতের কাছে। ছাত্রছাত্রীদের অনুযোগ, মাঝেমধ্যেই বাস বা ট্রেকারের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সময়ে স্কুলে পৌঁছনো যায় না। তা ছাড়া ট্রেকারে বাদুড়ঝোলা হয়ে যেতে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ওই লেভেল ক্রসিঙের গেট বন্ধ ছিল প্রায় এক ঘণ্টা। ফলে ওই দীর্ঘ সময় কোনও বাস বা ট্রেকার শ্রীরামপুরের দিকে আসতে পারেনি। স্কুলে পৌঁছতে সমস্যায় পড়ে ছাত্রছাত্রীরা। মিল্কি বাদামতলায় রাস্তা অবরোধ করেন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছয়। পুলিশের তরফে শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া ৩১ নম্বর রুটের বাস মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পরেই বাস মালিকেরা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, স্কুলের দিনগুলিতে মিল্কি বাদামতলা থেকে শ্রীরামপুর আদালত পর্যন্ত একটি বাস চালানো হবে। তবে শুধু স্কুল ছাত্রছাত্রীরাই ওই বাসে উঠতে পারবে। তাদের কাছ থেকে ‘স্টুডেন্ট কনসেশন’ হিসেবে অর্ধেক ভাড়াই নেওয়া হবে। প্রতিদিন ১০টায় মিল্কি বাদামতলা থেকে বাসটি ছাড়বে। মঙ্গলবার থেকেই ওই পরিষেবা চালু করা হয়। এ দিন ওই বাসে চেপে শতাধিক ছাত্রছাত্রী স্কুলে যায়। ওই রুটের বাসমালিকেরা জানান, ‘স্কুল স্পেশ্যাল’ বাসটি চালিয়ে তাঁদের লাভ হবে না ঠিকই। তবে সংগঠন থেকে সংশ্লিষ্ট বাসকর্মীদের সম্মান-দক্ষিণা দেওয়া হবে। ‘স্কুল বাস’ পেয়ে খুশি খুদে পড়ুয়ারা। তাদের প্রতিক্রিয়া, এখন থেকে আর ট্রেকারে ঝুলে স্কুলে যেতে হবে না। বাসের জন্য হা করে করে দাঁড়িয়েও থাকতে হবে না।

Accident Bus Student
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy