দূষিত: এ বার পুজোয় এই ছবি বদলাবে, আশায় পুরসভা। নিজস্ব চিত্র
জগদ্ধাত্রী পুজোর চারটে দিন চন্দননগরে মানুষের ঢল নামা নতুন নয়। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, পুজোর দিনে লক্ষাধিক মানুষ আসেন শহরে। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার দিকে নজর রাখলেও পুজোকালীন শহর অপরিষ্কার হওয়ার আশঙ্কা থাকেই। তবে চন্দননগর পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, সেই দূষণ থেকে শহরকে বাঁচাতে প্রস্তুত তাঁরা।
চন্দননগর পুরসভায় দুটি বড় অংশ রয়েছে। প্রাচীন এই শহর গঙ্গা থেকে জিটি রোড এবং জিটি রোড থেকে স্টেশন বিস্তৃত এলাকা। চন্দননগরের পুজো বলা হলেও এই পুজো আদতে ভদ্রেশ্বর থেকে শুরু হয়ে মানকুন্ডু ছাড়িয়ে চন্দননগর হয়ে চুঁচুড়ার তালডাঙা পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরসভা সূত্রে খবর, পুর এলাকা সাফাইয়ে বিশেষ বাহিনী নামাচ্ছে পুরসভা। ওই বাহিনী পুরসভার ৩৩টি ওর্য়াডে থাকবেন। তিনটি দলের প্রতিটিতে থাকবেন ২৫ জন করে পুরকর্মী।
পুজোর দিনগুলোতে সারা রাত ধরে মানুষ ঠাকুর দেখেন। সারা শহর জুড়ে নানা খাবারের স্টল অস্থায়ীভাবে বসে। আর খাওয়া শেষে শোলা বা কাগজের তৈরি থালা পড়ে থাকে রাস্তাতেই। তা থেকেই ছড়ায় দূষণ।
পুলিশের হিসেব বলছে, বিপুল মানুষের আনাগোনার শহর আবর্জনায় ভরে যায়। পুজোর দিনগুলোতে পুরকর্মীরা জরুরি ভিত্তিতে সারাদিন শহর পরিষ্কার করলেও সবসময় সব এলাকা পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না।
চন্দননগরের পুরপ্রধান রাম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুজোর সময় শহর পরিষ্কার রাখার কাজটা আমরা আরও সচেতনভাবে করতে চাই। চন্দননগর একটা ঐতিহাসিক শহর। এই শহরের সুনাম বজায় রাখতে আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখব না। অতিরিক্ত কাজের জন্য আমরা পুরসভার সাফাইকর্মীদের বাড়তি পারিশ্রমিকও দিয়ে থাকি। এ বারও তার অন্যথা হবে না।’’
পুরসভার পাশাপাশি চন্দননগর সবুজের অভিযানের উদ্যোগে শহরের ১৯টা সংস্থা মিলে বড়বাজার এলাকায় সচেতনামূলক একটি শিবির করছে। ওই শিবির থেকেই শহর পরিষ্কারের আবেদনের পাশাপাশি লিফলেট বিলি করা হবে। তাছাড়া ভিড়ের চাপে মানুষ হারিয়ে গেলে তাঁরা কোথায় যাবেন? কী করবেন? সেই সংক্রান্ত নানা নির্দেশিকাও দেওয়া হবে ওই শিবির থেকেই। শিবিরের অন্যতম উদ্যোক্তা বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুজোর সময় বহু মানুষ শহরে আসেন। শহর পরিষ্কারের বার্তা দেওয়া হবে ওই শিবির থেকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy