Advertisement
০৪ জুন ২০২৪

জেলা প্রশাসন দাবি করলেও শেষ হয়নি শৌচাগারের কাজ

জেলা প্রশাসনের দাবি, সমীক্ষা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা শেষ।জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েত আগামী ৩ সেপ্টেম্বর নিজ নিজ পঞ্চায়েতকে ‘নির্মল পঞ্চায়েত’ দাবি করে বিশেষ ‘ওডিএফ’ অনুষ্ঠান করবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৫
Share: Save:

জেলা প্রশাসনের দাবি, সমীক্ষা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা শেষ।

জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েত আগামী ৩ সেপ্টেম্বর নিজ নিজ পঞ্চায়েতকে ‘নির্মল পঞ্চায়েত’ দাবি করে বিশেষ ‘ওডিএফ’ অনুষ্ঠান করবে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এসে হুগলিকে ‘নির্মল জেলা’ ঘোষণা করবেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সেই কাজে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, সে জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) শ্রাবণী ধর বলেন, ‘‘সমগ্র জেলা নির্মল অবস্থা বজায় রাখতে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে নির্মল ঘোষণার আগে পর্যন্ত ধারাবাহিক নানা কর্মসূচি চলবে।’’

অথচ হুগলির পান্ডুয়া ব্লকের ইটাচুনা-খন্যান পঞ্চায়েত এলাকার অনেক বাড়িতে এখনও শৌচাগার তৈরি করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘মিশন নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে সারা রাজ্যের অন্যান্য ব্লকের মতো পান্ডুয়া ব্লকেও প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার তৈরির বিষয়ে সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে খোলা মাঠে শৌচকাজ বন্ধ করতে অভিযান চা‌লানো হয়।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ অগস্টের মধ্যে পান্ডুয়া ব্লকের প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছিল। পান্ডুয়া ব্লক প্রশাসনের দাবি, সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।

মহকুমাশাসক (চুঁচু়ড়া) সুদীপ সরকার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত এলাকা ধরে ধরে শৌচাগার তৈরির যা লক্ষ্যমাত্রা ছিল সেটি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

কিন্তু ইটাচুনা-খন্যান পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ব্লক অফিসে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, তাদের পঞ্চায়েতে এখনও শৌচাগারহীন বাড়ি রয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান পঞ্চায়েত প্রধান‌‌ পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের পঞ্চায়েতে এখনও ২৯২টি বাড়িতে শৌচাগার তৈরির কাজ বাকি রয়েছে। সমস্যার কথা ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাচুনা-খন্যান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অনেক বাড়িতে এখনও শৌচাগার তৈরি হয়নি। খোলা মাঠেই চলছে শৌচকর্ম। স্থানীয় দাসপাড়া, মান্দারণ, খন্যান পূর্বপাড়া, গুড়জলা, ইটাচুনা ক্যানেলপাড়-সহ বিভিন্ন গ্রামে এখনও অনেকে খোলা মাঠে শৌচকর্ম করেন। গঙ্গারাম দাস নামে এক গ্রামবাসীর স্বীকারোক্তি, ‘‘কয়েক দিন আগে ভোরে মাঠে শৌচকাজ করার সময়ে পঞ্চায়েতের লোকজন টর্চ আর মুখে বাঁশি নিয়ে আমাদের তাড়া করেছিল।’’ গঙ্গারামবাবুর স্ত্রী পূর্ণিমা দাসের ক্ষোভ, পঞ্চায়েতের কর্তারা বাড়িতে শৌচাগার বানিয়ে দেওয়া দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও শৌচাগার হয়নি। একই অভিযোগ কিশোর কর্মকার, গোপালি মালিক, ঝুমা বাউলদাস, রনু ক্ষেত্রপাল, বিজলী কর্মকার-সহ আরও অনেকেয়।

যদিও পান্ডুয়ার বিডিও গৌরাঙ্গ ঘোষ দাবি করেছেন, ‘‘খন্যান এলাকার সমস্যার কথা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

District administration toilet construction
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE