প্রতীকী ছবি।
গ্রামোন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার জন্য বিডিওদের নির্দেশ দিল হাওড়া জেলা প্রশাসন। জেলায় প্রতি সপ্তাহে বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের নিয়ে জেলাশাসক কাজের পর্যালোচনা করেন। সম্প্রতি সেরকমই একটি বৈঠকে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আর এই নির্দেশিকার মধ্যেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের গন্ধ পাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের কর্তাদের একটি বড় অংশ। তাঁদের অনুমান, ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারি মাসের গোড়ায় হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই কারণেই নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের কবলে পড়ে বরাদ্দ খরচে যাতে পঞ্চায়েতগুলি সমস্যায় না পড়ে সেটা সুনিশ্চিত করাই এই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার উদ্দেশ্য।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন খাতে টাকা খরচ করতে হবে সেটা বলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চতুর্দশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন, চতুর্থ রাজ্য অর্থ কমিশন এবং ‘গ্রাম পঞ্চায়েত স্বশক্তিকরণ’ বা আইএসজিপি-র টাকা। চতুর্দশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে এই টাকা সরাসরি দেয় কেন্দ্র। টাকার পরিমাণও সব থেকে বেশি। চতুর্থ রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকা দেয় রাজ্য সরকার। আইএসজি পি-র টাকা দেয় বিশ্বব্যাঙ্ক।
এই তিনটি খাতের টাকা খরচের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হয়। তার মধ্যে প্রধান হল টেন্ডার ডাকা এবং ঠিকাদারদের কাজের বরাত দেওয়া। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিডিওদের বলা হয়েছে, সময়সীমার মধ্যে যদি টাকা খরচ করা না যায় তাহলে টেন্ডার ডেকে ঠিকাদারদের কাজের বরাত দিয়ে রাখতে হবে। তবে এই সময়সীমা থেকে একশো দিনের কাজ, বিধবা ও বৃদ্ধদের পেনশন, কেউ মারা গেলে তাঁর সৎকারের জন্য দু’হাজার টাকার আপৎকালীন আর্থিক সহায়তার মত প্রকল্পগুলিকে বাদ রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy