Advertisement
১৭ মে ২০২৪

অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটার অভিযোগ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে

বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই গোঘাটের তৃণমূল পরিচালিত শ্যামবাজার পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কয়েকশো ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার অভিযোগ উঠল। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পেয়ে বুধবার ওই গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন গোঘাট ২-এর বিডিও শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৪ ০১:৩২
Share: Save:

বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই গোঘাটের তৃণমূল পরিচালিত শ্যামবাজার পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কয়েকশো ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার অভিযোগ উঠল। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পেয়ে বুধবার ওই গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন গোঘাট ২-এর বিডিও শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত।

ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছ কাটা শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার সকাল থেকে। শিবপ্রিয়বাবু বলেন, “বলা হলেও পঞ্চায়েত প্রধান গাছ কাটার অনুমতি পত্র দেখাতে পারেননি। অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত গাছ কাটা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” শ্যামবাজার পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, সম্প্রতি পঞ্চায়েতের উন্নয়নের একটি বৈঠকে শ্যামবাজার সংসদ এবং লালাপুর সংসদ এলাকার ক্যাানাল পাড়ে এক সময় পঞ্চায়েতের রোপণ করা বর্তমানে পরিণত সমস্ত ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে তহবিল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ হয় গত ২৭ জুন। পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের শম্পা বিশ্বাস বলেন, “আমরা বন দফতরেরর কাছে গাছ কাটার অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম দিন তিনেক আগে। অনুমতি আসার আগেই ঠিকাদার গাছ কাটা শুরু করে দিয়েছিল। এ দিক থেকে আমাদের তরফে একটা গাফিলতি হয়তো হয়েছে। কারণ বন দফতরের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার কথা আমরা ভাবিনি। তবে বিষয়টি জানা মাত্রই বন দফতর এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে ত্রুটি স্বীকার করে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি।”

যদিও বন দফতরের আরামবাগ রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাজার পঞ্চায়েত থেকে গাছ কাটার অনুমতির আবেদন আসে মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ। বন দফতর থেকে পঞ্চায়েত কর্তৃৃপক্ষকে বলাও হয়েছিল আগামী ১৪ থেকে ২০ জুলাই বন উত্‌সব চলবে। এই সময়ে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয় না। ২০ তারিখের পর আবেদন খতিয়ে দেখে অনুমতির ব্যবস্থা হবে। তারপরেও কেন গাছ কাটা হল তা নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের আরামবাগের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার উত্‌পল সরকার।

পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ৬০০ ইউক্যালিপটাস গাছ কাটা হয়েছে। যদিও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, হাজার খানেক গাছ কেটে ট্রাক্টরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের একচ্ছত্র জয়লাভের পর মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কখনও তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে, কখনও আবার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।

শ্যামবাজার পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এত দিন ধরে তৃণমূলের লোকজন এখানে ওখানে চুরি করে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। এ বার পঞ্চায়েতের উন্নয়নের নাম করে কয়েক হাজার গাছই লোপাট করার চেষ্টায় ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE