অস্ত্র সহ পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল চুঁচুড়া থানার পুলিশ। তাদের সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৪২ কেজি গাজা। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, ভোলা দাস, বিশাল দাস, বিশ্বজিৎ মিত্র ওরফে ছোটকা এবং সোনা অধিকারী। এদের পেরত্যেকেরই বাড়ি চুঁচুড়াতেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ব্যান্ডেল ও চুঁচুড়া গবেষণা কেন্দ্র এলাকায় হানা দিয়ে পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে পুলিশ ৩টি ৭এমএম রিভলবার ২টি পাইপগান, ২১ রাউন্ড তাজাগুলি এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। ধৃতদের জেরা করে তাদের গোপন ডেরা থেকে উদ্ধার হয় গাজা। পুলিশ জানায় ধৃতরা সকলেই খুন, তোলাবাজির ঘটনায় জড়িত। অধিকাংশ সময়ই জেল হেফাজতে থাকার পর জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার দুষ্কৃতীমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ত এরা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে তোলা আদায় করত সঞ্জয়রা। তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানান, সঞ্জয় গঙ্গ্যোপাধ্যায় খুনের অভিযোগে দশ বছর জেল হেফাজতে কাটিয়ে সম্প্রতি ছাড়া পায়। সম্পদের নেতৃত্বে এই সমস্ত দুষ্কৃতীরা এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে তোলাবাজি চালাত। কিন্তুু প্রাণনাশের ভয় এদের বিরুদ্ধে কেউ পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। শুক্রবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক এদেরকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নিদের্শ দেয়।
এ প্রসঙ্গে হুগলির সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “ধৃতরা সবাই দাগী আসামী। বৃহস্পতিবার রাতে এরা জড়ো হচ্ছিল কোনও বড় ধরনের অপরাধমূলক কাজের জন্য। কিন্তু তার আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা ধরে ফেলি। অন্যন্য জেলাতেও কোনও অপরাধ মূলক কাজ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছি।”
অন্যদিকে, শুক্রবার শুক্রবার অম্বিকা-কালনা স্টেশন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত প্রণবানাথ দাস চন্দননগরের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবক বিহার ও ঝাড়খন্ড থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে কলকাতায় সরবরাহ করত। এ দিন সে ফরাক্কা থেকে মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে উঠেছিল। অম্বিকা-কালনা স্টেশনে নামার পর সেখান থেকে গাড়ি করে তার কলকাতায় আসার পরিকল্পনা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী দল এ দিন অম্বিকা-কালনা স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy