হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অসীম চক্রবর্তী।—নিজস্ব চিত্র।
কটূক্তির প্রতিবাদ করায় বাড়িতে চড়াও হয়ে এক প্রৌঢ় গৃহশিক্ষককে রাস্তায় বের করে এনে মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর প্রাক্তন দুই ছাত্র-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার, শিক্ষক দিবসের দিনে আরামবাগের গৌরহাটি গ্রামের বেহালা বাজারপাড়ার ঘটনা। অসীম চক্রবর্তী নামে বছর একান্নর গুরুতর আহত এবং মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ওই গৃহশিক্ষককে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার পরিবারের লোকেরা তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
পুলিশ জানায়, শিক্ষক তাঁর প্রাক্তন ছাত্র গোপাল সর্দার এবং পিরু ধঁক-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ অসীমবাবু যখন নিজের বাড়িতে ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছিলেন, তখন দুই অভিভাবক বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গোপাল রাস্তায় কটূক্তি করে থাকে বলে অভিযোগ। গোপালকে বাড়ি পাঠানোর জন্য অসীমবাবু একটি ছড়ি নিয়ে গিয়ে তাকে শাসন করেন। অভিযোগ, সেখানেই অসীমবাবুকে গোপাল একপ্রস্ত মারধর করে। তার পরে শুক্রবার সকালে গোপাল লোকজন নিয়ে এসে অসীমবাবুর বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেয় এবং দুপুরে ওই বাড়িতে চড়াও হয়ে মহিলাদের কটূক্তি করে অসীমবাবুকে ঘর থেকে টেনে বের করে রাস্তায় ফেলে কিল-ঘুষি-লাথি মারে। হুমকিও দেয়।
অসীমবাবু বলেন, “গোপালরা যে হামলা করবে, স্বপ্নেও ভাবিনি। শরীরে যত না, তার চেয়ে মানসিক ভাবে বেশি আঘাত পেয়েছি। পিরুই বেশি মেরেছে। বছর পনেরো আগে ও আমার ছাত্র ছিল। সহপাঠী মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করায় ওকে কোচিং থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy