আরামবাগ ট্রেজারি দফতরে প্রযুক্তির আধুনিকীকরণের গেরোয় বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ। গত দু’মাস ধরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিল আটকে যাওয়ার কারণে থমকে গিয়েছে মহকুমার ৬টি ব্লকের ৬৩টি পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ। একইভাবে সমস্যায় পড়েছে মহকুমার অন্য সরকারি দফতরগুলিও। বিডিও-সহ বিভিন্ন দফতরের ব্লক স্তরের আধিকারিকদের অভিযোগ, মাস দু’য়েক ধরে আধুনিকীকরণের অজুহাত দেওয়া হচ্ছে ট্রেজারি দফতর থেকে। ২০টি বিল পাঠালে ৫টি বিলও পাশ হচ্ছে না। আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া কবে সম্পূর্ণ হবে তারও নিশ্চয়তা নেই। বিষয়টা মহকুমা শাসকের নজরে আনা হয়েছে।
মহকুমা শাসক প্রতুল কুমার বসু বলেন, “আরামবাগ ট্রেজারিতে আধুনিকীকরণের কাজ চলায় প্রশাসনের কাজে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। তবে তা শীঘ্রই কেটে যাবে।”
ট্রেজারিতে আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া কবে সম্পূর্ণ হবে? আরামবাগ ট্রেজারির অফিসার সোমনাথ দে বলেন, “রাজ্যের সমস্ত ট্রেজারিগুলিকে (৮৮টি) ‘সেন্ট্রাল ট্রেজারি সিস্টেম’-এর আওতায় আনা হচ্ছে। আমাদের লোকাল সার্ভারের ডেটাগুলো সেন্ট্রাল সার্ভারে ফেলা হয়েছে। একটা সিস্টেম থেকে অন্য সিস্টেমে যাওয়ায় সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। তবে চলতি মাসের মধ্যেই সমস্যা কেটে যাবে আশা করছি।”
বিভিন্ন ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ট্রেজারি দফতরের এই বিভ্রাটে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের নানা প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। টাকা না পাওয়ায় থমকে গিয়েছে কাজ। বিভিন্ন ভাতা, গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রকল্প যেমন স্বাস্থ্যবিধান ব্যবস্থার উন্নতি, গ্রামীণ রাস্তার সংস্কার, পানীয় জল, খেলার মাঠ, সেতু ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ আটকে গিয়েছে। মহকুমার বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মীরা জানুয়ারি মাসের বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা এখনও পাননি। পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধানদেরও সাম্মানিক বন্ধ। সব মিলিয়ে প্রশাসনিক মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের অভিযোগ, একটি আর্থিক বছরে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ ৩১ মার্চের মধ্যে যথাযথ বিল পেশ করে না তুললে ওই তারিখের পর থেকে সেই তহবিল তামাদি হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিল পাশ নিয়ে বিলম্ব হলে বড় সমস্যা দেখা দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy