গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডোমজুড় ব্লকের ১৮ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র মাকড়দহ ১ পঞ্চায়েতটিই তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বোর্ড তৈরি করতে পেরেছিল সিপিএম। কিন্তু সেই বোর্ডও শেষ পর্যন্ত সিপিএম টিকিয়ে রাখতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান শেখ জুহুর আলি দিন কয়েক আগেই ডোমজুড়ের বিডিওকে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। যদিও প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করলেও জুহুর আলি পঞ্চায়েতের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।
তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের অর্ন্তদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও দ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের পাল্টা দাবি, এই ঘটনায় ইন্ধন রয়েছে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর।
বিডিও তমোঘ্ন কর বলেন, “মাকড়দহ-১ পঞ্চায়েত প্রধানের পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি। ওই প্রধানকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। তার পরেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে।’’ ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কোনও পঞ্চায়েতের প্রধান পদত্যাগ করলে একমাসের মধ্যে পরবর্তী প্রধান নির্বাচন করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই করা হবে। ততদিন পর্যন্ত উপপ্রধান প্রধানের কাজ চালাতে পারেন। পদত্যাগী প্রধান জুহুর আলি অবশ্য বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। তবে, নির্বাচিত প্রধান পদত্যাগ করায় পরিষেবা প্রায় শিকেয় উঠেছে ওই পঞ্চায়েত অফিসে। নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাওড়া জেলায় বেশ খারাপ ফল করেছিল সিপিএম। ডোমজুড় ব্লকের মধ্যে মাত্র দু’টি পঞ্চায়েতে জিতেছিল সিপিএম। একটি বাঁকড়া-৩ এবং অপরটি মাকড়দহ-১। কিন্তু নির্বাচনের পরে বাঁকড়া-৩ পঞ্চায়েতের কয়েকজন সিপিএম সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে গোটা ব্লকে শুধুমাত্র মাকড়দহ-১ নম্বর পঞ্চায়েতটিই বামেদের হাতে থেকে যায়। কিন্তু সেখানেও এ বার ক্ষমতা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে তাদের। মাকড়দহ-১ পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে বর্তমানে সিপিএমের হাতে রয়েছে ৮টি আসন। তৃণমূলের ঝুলিতে ৭টি। পদত্যাগী প্রধান যেহেতু সদস্য পদ ছাড়েননি তাই খাতায় কলমে সিপিএমের ৮ জন সদস্যই রয়েছেন। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্লকের একমাত্র সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের দখল পেতে আদাজল খেয়ে নামতে চলেছেন ডোমজুড়ের তৃণমূল নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy