Advertisement
০৪ মে ২০২৪

তৃণমূল নেতা খুনে আটক ১

হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শেখ হালিমের খুনে অভিযুক্তদের বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে একজনকে এ দিন আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ দক্ষিণ বিধিচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা ভবানীপুর-বিধিচন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক শেখ হালিমকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। গ্রামেই একটি দলীয় কর্মীসভা শেষ করে নিজের ক্লাবে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই দু’জন দুষ্কৃতী ক্লাবে ঢুকে পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০৫
Share: Save:

হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শেখ হালিমের খুনে অভিযুক্তদের বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে একজনকে এ দিন আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ দক্ষিণ বিধিচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা ভবানীপুর-বিধিচন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক শেখ হালিমকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। গ্রামেই একটি দলীয় কর্মীসভা শেষ করে নিজের ক্লাবে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই দু’জন দুষ্কৃতী ক্লাবে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ শেখ আসফার, নামে একজন তার রিভলভার থেকে হালিমকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।

বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্ত হয় হালিমের। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শেখ আসফার-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে আটক করা হলেও আসফার-সহ বাকিরা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “মূল অভিযুক্ত আসফারকে ধরতে জোর তল্লাশি চলছে। তাকে ধরতে পারলেই খুনের মোটিভ জানা যাবে।” তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য আগেই অভিযোগ করা হয়, আসফার সিপিএমের কর্মী। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা সমীর পাঁজা বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই আসফার হালিমকে খুন করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, “তৃণমূল নেতারাই তো বলেন, উদয়নারায়ণপুরে সিপিএমের কেউ নেই। আর দোষ চাপানোর সময়ে তাঁরা সিপিএমকে খুঁজে পেলেন?” হালিম এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। চামড়ার নানা জিনিস তৈরির কাজ করতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

ভাঙা হল চোলাইয়ের ঠেক। চোলাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আবগারি দফতরের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার গোঘাটের কুমুড়শার মানুষমারি গ্রামে আদিবাসী পাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। এলাকায় বেশ কিছু চোলাইয়ের ভাটি ভাঙার সময় আদিবাসী মহিলারা বাধা দেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা ভাটি ভাঙার বিরুদ্ধে নন। কিন্তু এই ব্যবসায় যাঁরা জড়িত তাঁদের বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে। দফতর সূত্রে জানা যায়, ৬০টি ভাটি ভাঙা হয়েছে। চোলাই তৈরির সরঞ্জাম সহ ৩ হাজার লিটার চেলাই উদ্ধার হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE