Advertisement
E-Paper

দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের অনাস্থা তিরোলে

তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন দলেরই উপপ্রধান-সহ ১২ জন সদস্য। সোমবার সকালে এ সংক্রান্ত চিঠি বিডিও প্রণব সাঙ্গুইয়ের কাছে জমা দেন তাঁরা। দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান কাজি নিজামুদ্দিন ওরফে কোচন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে পঞ্চায়েতের কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৪৯

তৃণমূল পরিচালিত আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন দলেরই উপপ্রধান-সহ ১২ জন সদস্য। সোমবার সকালে এ সংক্রান্ত চিঠি বিডিও প্রণব সাঙ্গুইয়ের কাছে জমা দেন তাঁরা। দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান কাজি নিজামুদ্দিন ওরফে কোচন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে পঞ্চায়েতের কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নিয়ম মতো ১৫ দিনের মধ্যে তলবি সভা ডাকতে বলা হবে প্রধানকে। প্রধান না ডাকলে ব্লক প্রশাসন সেই সভা ডাকবেন পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে। সেই তলবি সভায় প্রধানের পক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি সদস্য না থাকলে নতুন প্রধান নির্বাচন করা হবে। বিডিও জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “দলের নির্দেশ মতো কোথাও কোনও অনাস্থা আনা যাবে না। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

তৃণমূূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিরোলের ২০টি আসনেই তারা জেতে। কিন্তু তখন থেকেই পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। দলের একাংশ লক্ষ্মী মণ্ডলকে প্রধান করতে চেয়েছিলেন। অন্য অংশের পছন্দ ছিল কাজি নিজামুদ্দিন। শেষমেশ ভোটাভুটিতে নিজামুদ্দিন জেতেন। কিন্তু তার পরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ হয়নি। তার জেরে ব্যাহত হচ্ছে গ্রামোন্নয়নের কাজ।

উপপ্রধান মিতা বাগও পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের নিজেদের গোলমালে পঞ্চায়েতের কাজে গতি নেই। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব গুরুত্ব দিয়ে মেটাচ্ছিলেন না। উন্নয়ন স্তব্ধ থাকায় মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। তাই স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়তে চেয়ে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।” পক্ষান্তরে, প্রধানের দাবি, “পঞ্চায়েতের নথিপত্র দেখলেই দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা বোঝা যাবে। তবে, কাজ যে হচ্ছে না, তা বাস্তব। উন্নয়নে ছন্দ ফেরাতে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে নেব।”

অনাস্থার পক্ষে সই করা ১২ জন সদস্যের মধ্যে অবশ্য মইগ্রামের ঝর্না সিংহ নেই। সম্প্রতি গ্রামে মা-ছেলের বিবাদে মায়ের পক্ষ নিয়ে ছেলেকে হুমকি, মারধর এবং শেষ পর্যন্ত তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ঝর্নার বিরুদ্ধে। তার পর থেকেই পুলিশের খাতায় তিনি ‘পলাতক’। পঞ্চায়েতেও আসছেন না।

arambag tirol panchayat No-confidence motion tmc
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy