সীমানা পুনর্বিন্যাসের ফলে আরামবাগ পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা ১৮ থেকে বেড়ে হচ্ছে ১৯। প্রত্যাশিত ভাবেই জনসংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চারটি বুথ নিয়ে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডটি তৈরি হচ্ছে। এ সংক্রান্ত রূপরেখাও চূড়ান্ত হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
গত বুধবার সংশ্লিষ্ট পুরবাসীদের কোনও আপত্তি বা পরামর্শ জানানোর সময়সীমা নির্দিষ্ট করেছিল পুরসভা। কিন্তু ওই সময় পর্যন্ত কোনও আপত্তি বা পরামর্শ সংক্রান্ত চিঠি বা দরখাস্ত মেলেনি জানিয়ে তৃণমূল পরিচালিত ওই পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, “আপত্তির প্রশ্ন নেই। সর্বদলীয় বৈঠকের পরেই প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে।” পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সিপিএমের গোপাল কচ বলেন, “বাম আমলেই ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিভাজনের প্রস্তাবটি রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া ওয়ার্ড বাড়ানোর রাস্তাও ছিল না।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে আগামী পুর নির্বাচনে এই পুরসভার সীমানা পুনর্বিন্যাসে ১৯টি ওয়ার্ড বরাদ্দ হওয়ার নির্দেশিকা পাঠানো হয় গত সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি। ওয়ার্ড বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থান, বাসস্থানের ধরন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, ভোটারদের স্বাচ্ছন্দ্য, তফসিলি জাতি এবং জনজাতির জনসংখ্যা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে তথ্য সংবলিত প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছিল। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৭,৪১৮ জন। পরিবারের সংখ্যা ১৭৪২টি। মোট বুথ ছিল সাতটি ১২৮, ১২৯, ১৩০, ১৩১, ১৩২, ১৩৩ এবং ১৩৪ নম্বর। পুনর্বিন্যাসের পর ওই ওয়ার্ডে রইল খালি ১৩০, ১৩১, এবং ১৩২ নম্বর বুথ। বাদবাকি ১২৮, ১২৯, ১৩৩, এবং ১৩৪ নম্বর বুথ নিয়েই নতুন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডটি হতে চলেছে। নতুন ওয়ার্ড গঠনের এই বিভাজন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও গত ২২ অক্টোবর থেকে ঝোলানো হয় জেলাশাসকের দফতর, মহকুমাশাসকের দফতর এবং পুরসভা ভবনে। এই বিভাজনের ফলে দুই ওয়ার্ডে লোকসংখ্যা এবং ভোটার-সংখ্যারও সামঞ্জস্য থাকছে বলে পুরসভা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy