বেআইনিভাবে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। খানাকুলের মদনবাটি গ্রামে ওই ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত কিশোরপুর-২ পঞ্চায়েতের তরফে দলের অঞ্চল নেতা তথা স্থানীয় বাসিন্দা দীপেন মাইতি সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে আভিযোগ করা হয়েছে খানাকুল-১ এর বিডিও, মহকুমা শাসক এবং জেলা শাসকের কাছে। মহকুমা শাসক প্রতুল কুমার বসু বলেন, মদনবাটি গ্রামে গাছ কাটার অভিযোগ নিয়ে বিডিওকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” ২৯ নভেম্বর এই অভিযোগ দায়েরের পরেও গত শনিবার ও সোমবার ফের ৩০টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার বিরুদ্ধে।
যদিও অভিযুক্ত নেতা দীপেন মাইতির সাফাই, “যা বলা হচ্ছে তত গাছ কাটা হয়নি। গ্রামের দুঃস্থ পরিবারের কেউ মারা গেলে তাঁর সৎকারের জন্য গাছ কাটা হয়েছে।” কিন্তু কেন অনুমতি নেওয়া হয়নি? এর উত্তরে দীপেনবাবু বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানকে সব জানিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা তাতে কান দেননি।” তবে একইসঙ্গে বন দফতরের কাছ থেকে অনুমতি না নেওয়াটা যে ভুল হয়েছে তাও স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “উপপ্রধানও বেআইনিভাবে গাছ কেটে নিচ্ছেন।” উপপ্রধান অসিত গঙ্গোপাধ্যায় অবিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “একে তো অনুমতি নেয়নি। এখন গাছ চুরিতে বাধা পেয়ে প্রলাপ বকছে। যদি বেআইনিভাবে গাছ কেটে থাকি তাহলে দীপেনবাবু অভিযোগ করুন। তদন্ত হোক।”
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুলের দু’টি ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা গাছ কেটে নিচ্ছেন বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, নেতাদের হুমকির জেরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ দায়ের হয় না। এই প্রথম দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ জানালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান। উপপ্রধান বলেন, “গাছ কাটার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের গণস্বাক্ষর সংবলিত অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি বিধায়ক ইকবাল আহমেদকে জানাই। তাঁরই পরামর্শ মতই পদক্ষেপ করা হয়েছে।” যদিও খানাকুলের বিধায়ক ইকবাল আহমেদ বলেন, “বিষয়টা আমার জানা নেই। খোঁজ নেব।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “ওই নেতার বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে গাছ কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলীয় ভাবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy