এই পথেই চলছে যাতায়াত। ছবি:দীপঙ্কর মজুমদার।
মোটরবাইক নিয়ে যেতে হলে গতি কমাতে হয়। বাসে গেলে ঝাঁকুনি থেকে বাঁচতে হাতল শক্ত করে ধরতে হয়। হেঁটে গেলে দেখা যায় নীচে রেললাইন। এই অবস্থা সাঁতরাগাছি ব্রিজের।
রাজ্যের মুখ্য কার্যালয় নবান্ন থেকে কিছু দূরে অবস্থিত এটি। সাঁতরাগাছি রেল স্টেশন থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ক্যারি রোডের দিকে এগলে এই ব্রিজ। শহরতলি থেকে সাঁতরাগাছি হয়ে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। বিদ্যাসাগর সেতুর সঙ্গে হাওড়া জেলার একাংশের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যমই হল এই সাঁতরাগাছি ব্রিজ। প্রতি দিন অসংখ্য গাড়ি এর উপর দিয়ে যায়। অভিযোগ, গাড়ির সংখ্যার নিরিখে দু’টি লেনের এই ব্রিজের পরিসর কম। তার উপরে ভাঙাচোরা ব্রিজের কারণে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা বিপজ্জনক।
ব্রিজের উপরে রাস্তায় প্রতিটি জোড়ায় ক্ষয়ে গিয়েছে লোহার অংশ। ভাঙা অংশ থেকে বেরিয়ে পড়েছে লোহা। পিচ উঠে লম্বাকৃতি গর্ত কার্যত নিকাশি নালার রূপ নিয়েছে। এর ফলে বাসে ব্যাপক ঝাঁকুনি হয়। মোটরবাইক বা তিন চাকার যানের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি। এক মোটরবাইক আরোহী বলেন, “লোহার অংশ যে ভাবে ভেঙে রয়েছে, যে কোনও দিন মোটরবাইকের চাকা তাতে পড়ে উল্টে যেতে পারে।” ভারি ট্রাকও ওই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে। নিত্যযাত্রীদের আশঙ্কা কোনও ভাবে গর্তে চাকা ঢুকে গেলে বড় অঘটন ঘটতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে ব্রিজের কিছু অংশ সারানো হলেও এই বেরিয়ে থাকা লোহাগুলি মেরামত হয়নি। ব্রিজটির এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়েরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এই ব্রিজটি মূলত রাজ্য পূর্ত দফতরের ন্যাশনাল হাইওয়ে ডিভিশনের দায়িত্বে রয়েছে। ব্রিজের বেহাল অবস্থার প্রসঙ্গে ওই ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি জানা আছে। কয়েক জন অফিসার এই বিষয়ে সবিস্তারে রিপোর্ট তৈরি করেছেন। কেন্দ্রের কাছে সেই রিপোর্ট পাঠানোও হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মেটাতে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy