এ বার হুগলিতে দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সভার অনুমতি দিতে পুলিশ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। আগামী ১৫ জানুয়ারি রাজ্যের কৃষি প্রতিমন্ত্রী তথা শাসক দলের হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার বিধানসভা কেন্দ্রের কামারকুণ্ডু স্টেশনের কাছেই ওই সভা হওয়ার কথা। আর সেই কারণেই পুলিশ-প্রশাসন তা আটকাতে তত্পর বলে বিজেপি-র অভিযোগ। পুলিশ অভিযোগ মানেনি।
বিজেপি সূত্রের দাবি, যে জমিতে সভা হওয়ার কথা তা ব্যক্তি-মালিকানাধীন। সভার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে কয়েক দিন আগে দলের স্থানীয় নেতারা সিঙ্গুর থানায় যান। পুলিশ প্রথমে তাঁদের বলে, যাঁর জমিতে সভা, তাঁর লিখিত অনুমতি আনতে হবে। এর পরে তাঁরা ওই ব্যক্তির লিখিত অনুমতিপত্র নিয়ে গেলেও পুলিশ ওই জায়গায় সভার অমুমতি দিচ্ছে না বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, তিনি সভার অনুমতি প্রত্যাহার করে নিতে চান। থানা সূত্রে জানানো হয়, যা বলার লিখিত ভাবে মহকুমাশাসকের কাছে জানানো হয়েছে। মহকুমাশাসক (চন্দননগর) পীযূষ গোস্বামী বলেন, ‘‘জমির মালিক প্রথমে অনুমতি দিয়েও পরে তা প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন, এই মর্মে পুলিশ জানিয়েছে। তবে, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী অবশ্য বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।”
বিজেপি দাবি, জমির মালিক আদপেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন না। এ জন্য তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে। যে জায়গায় সভা হওয়ার কথা, তার আশপাশের এলাকা সিঙ্গুরে জমি-আন্দোলনের আঁতুরঘর। সভার অনুমতি দিতে গড়িমসি করার সেটাও অন্যতম কারণ। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি স্বপন পাল বলেন, ‘‘উনি যদি রাজিই না হবেন, তা হলে প্রথমেই বা অনুমতি দিলেন কেন? আসলে ওখানকার প্রভাবশালী নেতার এলাকায় সভা করতে দিতে চায় না তৃণমূল।”
কয়েক মাস আগে অবশ্য হরিপালে রাহুলবাবু সভা করেছেন। স্বপনবাবুর বক্তব্য, ‘‘এখন পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। তৃণমূল বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে। আসলে ওই সভায় তৃণমূল ছেড়ে অনেকে আমাদের দলে যোগ দেবেন। সে কথা ওদের কানে গিয়েছে, তাই সভা করতে দিতে চাইছে না।”
বেচারামবাবু অবশ্য সভা আটকানোর চেষ্টার অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “সিঙ্গুরে নানা দল আগেও সভা করেছে। এখনও করছে। ওরা আইন মেনে সভা বা কোনও কর্মসূচি করতেই পারে। তাতে কোনও বাধা নেই।” একই সুরে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “সিপিএমের মতো দলের সঙ্গে লড়াই করে আমরা এই জায়গায় এসেছি। যেখানে সংগঠন নেই, এমন একটা দলকে ভয় পেতে যাব কোন দুঃখে? সভার অনুমতি দেওয়া প্রশাসনের কাজ। সেটা প্রশাসনই দেখবে। তার মধ্যে দলের কোনও ভূমিকা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy