সর্বশিক্ষা মিশন কর্মসূচিতে সঙ্ঘ বা ক্লাস্টারগুলির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের পোশাক সরবরাহ করার হাওড়া মডেল এ বার হুগলি জেলা-সহ সারা রাজ্যে শুরু হতে চলেছে।
হুগলি জেলা প্রশাসন থেকে ২১ অক্টোবর এই সংক্রান্ত আদেশনামা সমস্ত বিডিও এবং ব্লক মিশন আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। হাওড়ায় এই কর্মসূচি চালু হয় গত বছর। কর্মসূচিটির অভাবনীয় সাফল্য মিলেছে বলে জানান হাওড়া জেলা মিশন অধিকর্তা অরিন্দম নিয়োগী। জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন (এ রাজ্যে আনন্দধারা নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী) কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।
কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নিয়ে গঠিত হয় এক একটি সঙ্ঘ। সঙ্ঘগুলিকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে সর্বশিক্ষা কর্মসূচিতে মাদ্রাসা, শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র-সহ প্রাথমিক এবং উচ্চতর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি এবং পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত ছাত্রীদের এবং বিপিএলভুক্ত ছাত্রদের স্কুলের পোশাক সরবারহের জন্য যোগ্য সঙ্ঘের কাছ থেকে সরবরাহ নেওয়া হবে।
সর্বশিক্ষা মিশন কর্মসূচির নিয়ম অনুযায়ী স্কুলের পোশাক কেনার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বরাত দেওয়া যায় না। কিন্তু স্কুলগুলি এ জন্য সঙ্ঘকে আলাদা আলাদাভাবে বরাত দিতে পারে। সঙ্ঘগুলি কি উপায়ে পোশাক সরবরাহ করতে পারে তারও নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে। স্কুলগুলি সরাসরি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের সঙ্ঘকে পোশাক সরবরাহের জন্য বরাত দেবে। আবার শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রগুলির ক্ষেত্রে ব্লক থেকে সঙ্ঘকে সরবরাহের বরাত দেওয়া যাবে। বরাত পাওয়ার পর সঙ্ঘগুলি বাজার থেকে পোশাক কিনেও সরবরাহ করতে পারে, আবার কাপড় কিনে টেলারিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দলের কাছে বা পেশাদার দোরজির কাছে বানিয়েও সরবরাহ করতে পারে। তবে গুণগত মান বজায় রাখতে হবে। যে সব পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও সঙ্ঘ গঠিত হয়নি সেখানে পাশের পঞ্চায়েতের সঙ্ঘ থেকে স্কুলের পোশাক নেওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy