Advertisement
০৪ মে ২০২৪

জয়েন্টে উত্তর যাচাই করবে আইআইটি, যাদবপুর

জট শুধু রাজ্যের মেডিক্যাল জয়েন্টেই নয়। সমস্যা দেখা দিয়েছে চলতি বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট নিয়েও। সমস্যা এমনই ঘোরালো যে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দিয়েছেন এক ছাত্রীর বাবা। ঠিক যেমন ডাক্তারি জয়েন্টের ফলাফলে অস্বচ্ছতা আর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আগেই মামলা হয়েছে উচ্চ আদালতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:০৪
Share: Save:

জট শুধু রাজ্যের মেডিক্যাল জয়েন্টেই নয়। সমস্যা দেখা দিয়েছে চলতি বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট নিয়েও। সমস্যা এমনই ঘোরালো যে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দিয়েছেন এক ছাত্রীর বাবা। ঠিক যেমন ডাক্তারি জয়েন্টের ফলাফলে অস্বচ্ছতা আর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আগেই মামলা হয়েছে উচ্চ আদালতে।

ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ওই পরীক্ষার্থিনীর অভিযোগ, ঠিক উত্তর লেখা সত্ত্বেও তাঁকে নম্বর দেওয়া হয়নি। আর সরকার পক্ষের বক্তব্য, উত্তর যথার্থ নয় বলেই নম্বর দেওয়া হয়নি ওই ছাত্রীকে। ওই পরীক্ষার্থিনী পদার্থবিদ্যা ও গণিতের তিনটি প্রশ্নের যে-উত্তর লিখেছেন, তা ঠিক কি না, সেটা যাচাই করার জন্য সোমবার খড়্গপুর আইআইটি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।

আইনজীবী সুবীর সান্যাল জানান, তাঁর মক্কেল দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে মেধা ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট এন্ট্রান্সে পদার্থবিদ্যার ১২ আর ৩৯ নম্বর প্রশ্ন এবং গণিতের ৭২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লিখেও নম্বর পাননি। বেহালার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর দাবি, তিনি যে-উত্তর লিখেছেন, বাজারে চালু অন্তত ছ’টি বইয়ে সেই উত্তরই রয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্রীর উত্তর ‘মডেল’ বা আদর্শ উত্তরের সঙ্গে মিলছে না। রাজ্যের বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা।

আদালতে সুবীরবাবু জানান, তাত্ত্বিক প্রশ্নের উত্তর সব সময়েই এক রকম হয়। তাতে তফাত থাকে না। বাজারে চালু একাধিক বইয়ে একই উত্তর রয়েছে। তা সত্ত্বেও ওই প্রার্থীর উত্তর ঠিক বলে বিবেচিত হয়নি।

রাজ্যের তরফে আইনজীবী সাধন রায়চৌধুরী জানান, ওই ছাত্রীর উত্তর মডেল উত্তরের সঙ্গে মেলেনি। সেই জন্যই ওই তিনটি প্রশ্নের যে-উত্তর লিখেছেন, তাতে নম্বর দেওয়া হয়নি।

দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি বসাক খড়্গপুর আইআইটি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ও গণিতের বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দেন, ওই ছাত্রীর উত্তর ঠিক কি না, তা খতিয়ে দেখে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। এই নির্দেশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের কাছে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

IIT Jadavpur University JEE
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE