স্কুলের খুঁটিনাটি ও পরীক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গোটা রাজ্যে শুরু হয়েছে পরিদর্শন। এবার মূল্যায়নের সার্বিক রিপোর্টও মঙ্গলবারের মধ্যে স্কুলগুলোর কাছে তলব করল কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শক। এত তাড়াতাড়ি রিপোর্ট তলব করায় মাথায় হাত স্কুল কর্তৃপক্ষের।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বর্তমানে প্রতিটি ক্লাসে তিনটি ফরমেটিভ (প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন) এবং তিনটি সামেটিভ (পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন) হয়। তিন মাস অন্তর সামেটিভ পরীক্ষার আগে নেওয়া হয় ফরমেটিভ পরীক্ষা। কোনও পড়ুয়া প্রশ্ন করতে পারছে কি না, কোনও বিষয়ে সে আদৌ নিজে থেকে সে যোগ দিচ্ছে কি না, তা যাচাই করা হয়। কোনও একটি বিষয় প্রতিটি পড়ুয়া পর্যন্ত পৌছয় কিনা সেটার ওপর নজর দেওয়ার কথা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এটাকেই কনটিনিউয়াস কমপ্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন (সিসিই) বা নিরবচ্ছিন্ন সার্বিক মূল্যায়ন বলা হয়। কিন্তু গাল ভরা নাম দিলেও পরিকাঠামোর পরিবর্তন না ঘটিয়ে এ রাজ্যে সেটা কখনই চালু করা সম্ভব নয় বলে দাবি সিসিই-র গবেষক সৌগত বসুর। তাঁর মতে এর জন্য চাই পরিকাঠামোর বদল।
সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তথা গবেষক সৌগতবাবু জানিয়েছেন, এর জন্য
পড়ুয়া ও শিক্ষকের অনুপাত ৩০:১ থাকা উচিত। অথচ এ রাজ্যে সেটা নেই। তার ফলে চল্লিশ মিনিটের কোনও ক্লাসে প্রতিটি পড়ুয়া পর্যন্ত পৌছনোই যায় না। হাতে কলমে শিক্ষার বিষয়ও হচ্ছে না। ফলে যে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ফরমেটিভ পরীক্ষা চালু হয়েছিল সেটা আসলে কিছুই হচ্ছে না বলে মত তাঁর।
সৌগতবাবুর মতে, বেঞ্চের বিন্যাস, ক্লাসের অবস্থান, স্কুলের পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। একই মত এবিটিএ-র। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘পরিকাঠামো ঠিক না করলে ফরমেটিভ প্রক্রিয়া ঠিক
হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy