এ দেশের ফোনের সিম কার্ড তুলে সেই নম্বর পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল বলে জানতে পেরেছিলেন রাজ্য এসটিএফের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এ বার সেই সব নম্বরের খতিয়ান চেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিচ্ছেন রাজ্যের তদন্তকারীরা। তাতে জানতে চাওয়া হচ্ছে, ওই ভারতীয় নম্বরগুলি ব্যবহার করে পাকিস্তানে মোট কত হোয়াটসঅ্যাপ চালু আছে। সেই নম্বরগুলিতে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা বন্ধ করতেও বলা হচ্ছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘হোয়াটসঅ্যাপগুলি চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট আইপি অ্যাড্রেস প্রয়োজন। একমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছেই তা আছে।’’
রাজ্য এসটিএফ গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদ ও হুগলি জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীদের দাবি, তারা জাল নথির সাহায্যে কয়েক হাজার মোবাইল সিম কার্ড অ্যাক্টিভেট করে টাকার বিনিময়ে সেই নম্বর পাকিস্তানের হাতে দিয়েছে। পাকিস্তানে বসে যারা ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করেছে তাদের কাছে শনাক্তকরণের জন্য আসা ওটিপি-ও পাচার করা হয়েছে। কয়েক হাজার এমন সিম কার্ড পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। তার ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওই চক্রটি ২০১৯ সাল থেকেই সক্রিয়। ধৃত মুর্শিদাবাদের মহম্মদ কামরুজ্জামান এবং দিলওয়ার হোসেন এ রাজ্যে ওই ব্যবসার মাথা হলেও চক্রের মূল চাঁই দিল্লির বাসিন্দা। তাকেও খোঁজা চলছে। আর এক ধৃত অভিজিৎ পোড়েলের ফোন থেকে পাকিস্তানের একাধিক নম্বর মিলেছে। ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে টাকা লেনদেন হত। এই গোটা চক্রের পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই আছে বলেও গোয়েন্দাদের দাবি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)