কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
সাক্ষী হিসেবে তলব করার পরে হাজিরা না-দেওয়ায় পুলিশ তাঁকেই অভিযুক্ত করায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টু চন্দ্র। বৃহস্পতিবার তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি গ্রহণ করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আজ, শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হবে।
সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ঝালদার ওই কংগ্রেস কাউন্সিলরকে সমন করেছিল পুলিশ। হাজির না-হওয়ায় তাঁকে শুধু অভিযুক্ত হিসেবে খাড়া করেই ক্ষান্ত হয়নি ঝালদা থানা। পিন্টুকে ফেরার ঘোষণা করার আর্জি নিয়ে পুরুলিয়া কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা!
পিন্টুর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী, প্রীতি কর ও দেবায়ন ঘোষ এ দিন হাই কোর্টে জানান, সম্প্রতি ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। তার পরেই পুলিশ পুরনো মামলায় কংগ্রেস কাউন্সিলরদের তলব করতে শুরু করেছে। এক জন কাউন্সিলরকে সাক্ষী হিসেবে তলব করার পরে কী ভাবে তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা যায় এবং পুলিশ কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না-করে কী ভাবে সরাসরি কোর্টের কাছে ফেরার ঘোষণার আর্জি জানাতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা। গোটা ঘটনার পিছনে যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে বলেও কোর্টে ইঙ্গিত দিয়েছেন পিন্টুর আইনজীবীরা।
গত পুরসভা নির্বাচনে ঝালদায় তৃণমূলের পাঁচ জন, কংগ্রেসের পাঁচ জন এবং দু’জন নির্দল কাউন্সিলর হন। পুরভোটের পরেই খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই ঘটনাতেও অভিযোগের তির উঠেছিল ঝালদা থানার বিরুদ্ধে। তপন খুনের তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় আদালত। সেই ঘটনার পরে দু’জন নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। তপনের আসনে উপনির্বাচনে ফের কংগ্রেস জেতায় তাদের কাউন্সিলরের সংখ্যা আবার পাঁচ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সম্প্রতি নির্দল কাউন্সিলরেরা জোড়াফুলের শিবির থেকে কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকেছেন। তার পরেই অনাস্থা প্রস্তাব এনে পুরপ্রধানকে চিঠি দেয় কংগ্রেস। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গেলে গত ২৮ অক্টোবর উপ-পুরপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়। আগামী ৭ নভেম্বর সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি আছে। উপ-পুরপ্রধানকে চিঠি দেওয়ার পর থেকেই পুলিশ তলব শুরু করেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস কাউন্সিলর পিন্টুর আইনজীবীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy