ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় শিয়ালদহ এবং সেক্টর ফাইভ স্টেশনের পরে এ বার করুণাময়ী এবং সেন্ট্রাল পার্ক স্টেশনেও কাগজের কিউআর কোড নির্ভর টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হল। শনিবার ওই ব্যবস্থা আরও দু’টি স্টেশনে চালু হওয়ার ফলে সেখান থেকেও কাগজের কিউআর কোড দেওয়া টিকিট কেনার সুবিধা মিলবে।
এর আগে শিয়ালদহ বা সেক্টর ফাইভ থেকে অন্য সব স্টেশনে আসার জন্য কাগজের টিকিট ব্যবহার করা গেলেও ফিরতি পথে ওই টিকিট পাওয়ার সুবিধা ছিল না। প্লাস্টিকের টোকেন বা স্মার্ট কার্ডের উপরে নির্ভর করতে হত যাত্রীদের। এ বার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর চারটি স্টেশনে প্লাস্টিকের টোকেনের উপর নির্ভরতা কমবে। তবে দৈনিক মেট্রোয় যাতায়াত করেন না, এমন যাত্রীরা স্মার্ট কার্ডের চেয়ে প্লাস্টিকের টোকেন ব্যবহার করে সফর করার ক্ষেত্রেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন বলে সূত্রের খবর। তবে, প্লাস্টিকের টোকেন প্রায়ই হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ টোকেনের খরচের একাংশ তুলে নিতে টোকেনে বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন নেওয়া শুরু করেছেন বেশ কিছু দিন ধরে। কিন্তু, তার পরেও বিশেষ দিনে মেট্রোয় ভিড়ের মাত্রা বাড়লে টোকেন হারানোর সংখ্যাও বাড়ে। তাতে মেট্রোর আর্থিক ক্ষতি হয়।
আপাতত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় শিয়ালদহ, সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ী এবং সেন্ট্রাল পার্ক স্টেশনে একটি করে কাউন্টারে কিউআর কোড-সহ কাগজের টিকিট মিলবে বলে মেট্রো সূত্রের খবর। নতুন ব্যবস্থা আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে চলছে। ভবিষ্যতে যাত্রীদের টিকিট বিক্রি করার জন্য ওই প্রযুক্তি মেট্রোর অন্যান্য লাইনেও ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
নতুন প্রযুক্তি টোকেন ব্যবহারের চাপ কমিয়ে আনলেও প্রবল ভিড়ের সময়ে ওই প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে এখনও কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। ওই ব্যবস্থায় কাগজের টিকিট দেওয়া ছাড়াও মেট্রোর স্বয়ংক্রিয় গেটে নির্দিষ্ট স্ক্যানারে তা স্ক্যান করে ঢোকানোর জন্য টোকেন ব্যবস্থার তুলনায় কিছুটা বেশি সময় লাগে। ফলে, তীব্র ভিড়ের সময়ে ওই ব্যবস্থার কার্যকারিতার পরীক্ষা হওয়া এখনও বাকি। এ ছাড়া, টোকেন অজস্র বার পুনর্ব্যবহারের সুযোগ থাকে। কিন্তু, কাগজের টিকিট এক বারই ব্যবহার করা যায়। জল, ঘাম লেগে টিকিটের কিউআর কোড নষ্ট হলে স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে যাত্রীদের ঝক্কি পোহানোর আশঙ্কা থেকে যায়। এ ছাড়াও, টিকিটের জন্য কাগজের ব্যবহার কতটা পরিবেশবান্ধব, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)