Advertisement
০৯ মে ২০২৪
Fake

গয়না চুরির অভিযোগে ভুয়ো নথি, গ্রেফতার এক

পুলিশ জানায়, প্রথমে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রসিদটি ভুয়ো। রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের ওই ঠিকানায় যেমন কোনও সোনার দোকান নেই, তেমনই রসিদে থাকা জিএসটি নম্বরটিও ভুয়ো।

পুলিশ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে সানির স্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁদের আলমারির লকার থেকে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না চুরি গিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে সানির স্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁদের আলমারির লকার থেকে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না চুরি গিয়েছে। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৩
Share: Save:

জাল নথি জমা দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম সানি সিংহ। বাড়ি চেতলা থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করে আলিপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, সানির স্ত্রী একটি চুরির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন আলিপুর থানায়। সেই সূত্রে যা যা নথি দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল ভুয়ো। সেগুলি জোগাড় করেছিল সানি। ধৃতকে শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। তার ১১ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে সানির স্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর বাবা-মায়ের বাড়ির আলমারির লকার থেকে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না চুরি গিয়েছে। এমনকি, অভিযোগে বলা হয়, ওই সময়ে এক আত্মীয় এবং তাঁর মেয়ে মুম্বই থেকে এসেছিলেন। এক দিন বাইরে থেকে এসে অভিযোগকারিণী দেখেন, আলমারির গয়না উধাও। পরের দিনই আত্মীয়েরা তড়িঘড়ি চলে যান বলেও দাবি করেন অভিযোগকারিণী। তাঁর স্বামী সানি গয়না কেনার একটি রসিদ জমা দেয় পুলিশের কাছে। পাশাপাশি, চুরির সময়ে তাঁরা যে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন, তার প্রমাণস্বরূপ একটি প্রেসক্রিপশনও দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, প্রথমে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রসিদটি ভুয়ো। রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের ওই ঠিকানায় যেমন কোনও সোনার দোকান নেই, তেমনই রসিদে থাকা জিএসটি নম্বরটিও ভুয়ো। সেটি অন্য একটি স্বর্ণ বিপণির। এ ছাড়া, রসিদে যে ফোন নম্বর ছিল, তা সানির নিজের। এক তদন্তকারী জানান, ওই চিকিৎসকের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চুরির দিন চেম্বার বন্ধ থাকায় তিনি রোগী দেখেননি। তিনি লিখিত ভাবে তা জানিয়েও দেন।

তদন্তকারীরা জানান, খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুম্বইয়ের ওই আত্মীয়েরা সম্প্রতি কলকাতায় আসেনইনি। এর পরেই পুলিশ সানির বিরুদ্ধে ভুয়ো নথি এবং জাল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fake arrest Gold Jewellery
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE