পয়লা এপ্রিল থেকে এলাকা ভিত্তিক কর মূল্যায়ন ব্যবস্থা (ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট) চালু হচ্ছে কলকাতায়। নতুন ওই ব্যবস্থায় এলাকা অনুযায়ী করের পরিমাণ কত হবে এবং বার্ষিক মূল্যায়নের কত শতাংশ সম্পত্তিকর বাবদ দিতে হবে করদাতাদের, তা ঠিক করতে ৩০ মার্চ বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে পুরসভা। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, অধিবেশনেই নতুন ওই কর নির্ধারণের বিশদ প্রকাশ করবেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সে দিনই ঠিক হয়ে যাবে মার্কেট ভ্যালু, করের কাঠামো। শহরের প্রতিটি কাউন্সিলর নিজ নিজ এলাকার বাসিন্দাদের নতুন কর ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করাতে পারেন, তা মাথায় রেখেই ওই বিশেষ অধিবেশনের ব্যবস্থা হয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট চালু করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে। তবে কর নির্ধারণের পরিমাণ এবং এলাকা বাছাই নিয়ে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয় পুর প্রশাসনকে। নতুন ওই ব্যবস্থায় কারও কর অনেকটা বেড়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা হওয়ায় কিছুটা স্লথ হয়ে পড়ে ইউনিট এরিয়ার কাজ। এলাকার গুরুত্ব এবং বাজারদর অনুসারে এ থেকে জি, এই ৭টি জোনে ভাগ করা হয় শহরকে। ঠিক হয় এক-একটি জোনের কর কাঠামো এক-এক রকম হবে। সে সব ঠিক হলেও কর বাড়ার বিষয়ে কী হবে, তা নিয়ে সমস্যা বাড়ে। তার সমাধানে গত বছর বিধানসভায় একটি বিল পাশ করে রাজ্য সরকার। তাতে ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টের কারণে যাদের বিল বেশি হতে পারে, তাদের জন্য ক্যাপ ইন পদ্ধতি চালু করার অনুমোদন পেয়েছে তৃণমূল বোর্ড। অর্থাৎ, কারও সম্পত্তিকর অনেকটা বাড়লেও তাঁকে দিতে হবে বাড়তির ২০ শতাংশ। কারও ক্ষেত্রে করের পরিমাণ খুব কমে গেলেও, যতটা কমল তার মাত্র ২০ শতাংশই কর মূল্যায়ন দফতরের এক আধিকারিক বৃহস্পতিবার জানান, বর্তমানে সম্পত্তিকর বাবদ বার্ষিক মূল্যায়নের ১১ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দিতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় বাসিন্দাদের অনেকটাই সাশ্রয় মিলবে। তার পরিমাণ বার্ষিক মূল্যায়নের ৬ থেকে ২০ শতাংশের ভিতরে থাকবে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy