পশুপাচার রুখতে এ বার মাঠে নামতে হবে সাধারণ মানুষকেই। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বন্যপ্রাণী এবং বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির গাছ পাচার হওয়া থেকে বাঁচানোই থিম হিসেবে তুলে ধরেছে ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম।
কলকাতা শহরে এই সচেতনতা প্রচারে বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (বিএনসিসিআই) সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড (ডব্লিউ ডব্লিউ এফ)। শুক্রবার একটি আলোচনাসভায় পশ্চিমবঙ্গের ডব্লিউ ডব্লিউ এফ-এর ডিরেক্টর শাশ্বতী সেন জানান, বেআইনি ওষুধ এবং অস্ত্রের থেকেও বেশি পাচার হয় বিপন্ন পশুপাখি এবং উদ্ভিদ। বাইরের বিভিন্ন দেশে, বিশেষত বাংলাদেশ, মায়ানমারে পাচারের জন্য কলকাতাকেই সহজ রাস্তা হিসেবে বেছে নেয় পাচারকারীরা। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রমরমিয়ে চলছে এই পাচার কাজ।
এই পাচার রুখতে গঠিত ‘ট্রাফিক’ প্রকল্পের প্রধান শেখর নীরজ বলেন, ‘‘আসলে এই বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণ পাচারে বিশ্বব্যাপী সিন্ডিকেট কাজ করছে। আইন তো রয়েইছে, কিন্তু বন্যপ্রাণকে বাঁচাতে সংবেদনশীল হতে হবে সাধারণ মানুষকেও।’’ ৫ জুন, রবিবার বিশ্বপরিবেশ দিবস উপলক্ষে তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনসিসিআই এবং ডব্লিউ ডব্লিউ এফ। সচেতনতা প্রচারের জন্য কলকাতার বিভিন্ন স্কুলগুলিতেও আলোচনাসভার আয়োজন করবে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy