উত্তর কলকাতার ঘিঞ্জি এলাকায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে চিন্তিত প্রশাসন। তারই মধ্যে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করল রবীন্দ্র সরণি ব্যবসায়ী সমিতি। কলুটোলা, জাকারিয়া স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণির মতো ঘিঞ্জি এলাকায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে মঙ্গলবার এগিয়ে এলেন মসজিদের ইমামরাও। এ দিন ওই শিবির করতে সহায়তা করেছে দমকল দফতর।
উত্তর কলকাতায় ওই শিবিরের উদ্বোধনে এসে দমকলের ডিভিশনাল অফিসার (উত্তর) দীপঙ্কর পাঠক বলেন, ‘‘এই প্রথম কোনও ব্যবসায়ী সংগঠন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আগুন নিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করছে। এই ধরনের শিবির যত বেশি করে হবে, ততই উপকৃত হবেন মানুষ।’’ নাখোদা মসজিদের ইমাম সফিক কুরেশি বলেন, ‘‘উত্তর কলকাতায় এখনও অনেক পুরনো বাড়ি রয়েছে। অথচ বাড়ির মালিকই হোন বা ভাড়াটে, কেউই নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’’ উত্তর কলকাতার বিভিন্ন দোকান ও অফিসে অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা যে নেই, তা নিয়ে সতর্ক করে শিয়া মসজিদের ইমাম মেহেদি হোসেন বলেন, ‘‘কেবল উপার্জন করলেই হবে না। যে জায়গাকে কেন্দ্র করে আয় হচ্ছে, তার পরিচর্যাও জরুরি।’’ বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় ব্যবসায়ী ওয়াইয়েজুল হক বলেন, ‘‘মানুষকে সচেতন হতে হবে।’’
এ হেন শিবিরের আয়োজনে মুগ্ধ দমকলের ডিজি জগমোহন বলেন, ‘‘ঘিঞ্জি এলাকা বলে উত্তর কলকাতায় আগুনের খবর পেলেই আমি চিন্তায় থাকি। বেসরকারি ভাবে এই ধরনের উদ্যোগ যত বেশি হবে, ততই মানুষের সার্বিক উপকার হবে।’’ আগুন লাগলে প্রাথমিক প্রতিরোধের জন্য এ দিন দমকলের তরফে মহড়ার ব্যবস্থাও করা হয়। বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগলে দমকলের গা়ড়ি আসার আগেই কী ভাবে দ্রুত তা নিভিয়ে ফেলা যায়, তারও কৌশল এ দিন দেখানো হয়।