Advertisement
০৬ মে ২০২৪

অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে বাসিন্দারা

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য গত ৩১ অগস্ট রাতে বৌবাজারে যন্ত্রের সাহায্যে সুড়ঙ্গ খননের সময়ে ফেটে যায় একটি ‘ওয়াটার পকেট’। এর পরেই নেমে আসে বিপর্যয়।

ক্ষুব্ধ: মেট্রোকর্তাকে ঘিরে বিক্ষোভ বৌবাজারের বাসিন্দাদের। রবিবার, গোয়েন্‌কা কলেজে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

ক্ষুব্ধ: মেট্রোকর্তাকে ঘিরে বিক্ষোভ বৌবাজারের বাসিন্দাদের। রবিবার, গোয়েন্‌কা কলেজে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১৩
Share: Save:

মেট্রো বিপর্যয়ে বৌবাজারের প্রায় ছ’শো বাসিন্দা ইতিমধ্যেই ঘরছাড়া। অভিযোগ, যে সব হোটেলে তাঁদের রাখা হয়েছে, সেখানকার চরম অব্যবস্থায় তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আপাতত মেট্রোর কাজ বন্ধ থাকলেও আগামী দিনে সুড়ঙ্গ খুঁড়লে মাটির উপর কতটা নিরাপদ থাকবে? এই প্রশ্ন তুলে রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ হিদারাম ব্যানার্জি লেন ও গৌর দে লেনের মোড়ে প্রায় তিনশো বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেখান থেকে তাঁরা গোয়েন্‌কা কলেজের কন্ট্রোল রুমে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে হোটেলের অব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। যাবতীয় অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য গত ৩১ অগস্ট রাতে বৌবাজারে যন্ত্রের সাহায্যে সুড়ঙ্গ খননের সময়ে ফেটে যায় একটি ‘ওয়াটার পকেট’। এর পরেই নেমে আসে বিপর্যয়। ইতিমধ্যেই দুর্গা পিতুরি লেন, গৌর দে লেন এবং সেকরাপাড়া লেনের প্রায় ছ’শো বাসিন্দাকে হোটেলে সরানো হয়েছে। রবিবার সকালেও গৌর দে লেনের পাঁচটি পরিবারকে হোটেলে সরানো হয়। কিন্তু হোটেলগুলিতে বাসিন্দারা যে সুষ্ঠু পরিষেবা পাচ্ছেন না, তা মেনে নেন কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেডের (কেএমআরসিএল) মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ দেওয়ানজি। তাঁর কথায়, ‘‘বাসিন্দাদের যে সব হোটেলে রাখা হয়েছে, সেখানে ঠিক মতো পরিষেবা মিলছে না, এটা সত্যি। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব-সহ দেখব।’’

রামকানাই অধিকারী লেনের বাসিন্দা সৈকত পাত্র বলেন, ‘‘দুর্গা পিতুরি লেনের ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি ১৫০ মিটার। শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গ করতে আমাদের বাড়ির নীচ দিয়েই যেতে হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আগামী দিনে ওই সুড়ঙ্গ কাটার সময়ে নিরাপত্তা বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। না হলে আদালতে যাব।’’ বিশ্বনাথবাবুর কথায়, ‘‘বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে পুরো এলাকা খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষজ্ঞেরা সম্মতি দিলেই সুড়ঙ্গের কাজ শুরু হবে।’’

গত শনিবার বাসিন্দা সুরজ সেনের চোখের সামনে পুরো বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ভগ্নস্তূপের নীচে আলমারি-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পড়ে রয়েছে। ধ্বংসাবশেষ দ্রুত সরানো হলে সে সব উদ্ধার সম্ভব।’’ কেএমআরসিএল-এর তরফে তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আজ, সোমবার থেকে তাঁর বাড়ি-সহ পাঁচটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata Metro Kolkata East West Metro landslide
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE