সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে চোরের এই ছবি। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া স্টেশন চত্বরে ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনায় দুষ্কৃতী এক জন বলে আগেই জেনেছিল রেল পুলিশ। এ বার সিসিটিভি-র ফুটেজে সেই চোরের ছবি দেখে তাকে চিহ্নিতও করে ফেলল সিআইডি।
তদন্তকারীরা জানান, মঙ্গলবার ব্যাঙ্কের ভিতরে লাগানো ক্যামেরায় যার ছবি মিলেছে, সে ঝাড়খণ্ডের এক কুখ্যাত ব্যাঙ্ক ডাকাত। পুলিশের খাতায় ‘মণ্ডল’ নামে পরিচিত। ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থানার তিনপাহাড় এলাকার বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীর নামে এ রাজ্যেও একাধিক ব্যাঙ্ক ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, মালদহের মঙ্গলবাড়ি, গাজোল-সহ রায়গঞ্জেও তিনটি ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ওই মণ্ডল। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, খালি গায়ে কাঁধে গামছা নিয়ে ওই দুষ্কৃতী বন্ধ ব্যাঙ্কের ভিতরে ঘুরছে। দেখে মনে হচ্ছে, ব্যাঙ্কের ভিতরের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল ছিল সে। আর তা থেকেই তদন্তকারীরা নিশ্চিত যে, ওই ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনায় সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে।
হাওড়া স্টেশন চত্বরের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিও এই ঘটনায় জড়িত বলে অনুমান তদন্তকারীদের। গত সোমবার সকালে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন ওই ব্যাঙ্ক খোলার পরেই চুরির ঘটনাটি সকলের নজরে আসে। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, চোরের দল দেওয়াল কেটে ভিতরে ঢোকে। যদিও পরে বোঝা যায়, চোর আগে থেকেই ভিতরে লুকিয়ে বসে ছিল। পরে দেখা যায়, সেটাই ঠিক। খাবারদাবার নিয়ে ব্যাঙ্কের উপরের সিঁড়িতে ঘাপটি মেরে বসে ছিল ওই দুষ্কৃতী।
তদন্তকারীরা আরও জানান, হাওড়া স্টেশনের মতো নিরাপত্তায় মোড়া এলাকায় ব্যাঙ্কের ভিতরে লুকিয়ে থাকা এবং সারা রাত ধরে চুরি করার পরে গ্রিল ভেঙে চম্পট দেওয়া খুব সহজ নয়। পুলিশের অনুমান, কী ভাবে সে ম্যানেজারের ঘরের জানলার গ্রিল কেটে চম্পট দেবে, সে ব্যাপারে বেশ কয়েক দিন ধরে ওই দুষ্কৃতী ‘রেকি’ করেছিল। পাশাপাশি, টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে জানলার গ্রিল কেটে বেরোনোর সময়ে বাইরে তার কোনও শাগরেদ পাহারায় ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সিআইডি-র কাছ থেকে ওই দুষ্কৃতীর পরিচয় জেনে ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের একটি দল ঝাড়খণ্ডে রওনা হয়েছেন। v
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy