Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Tree Cutting

গাছ কাটার অভিযোগ দায়েরে ‘ঢিলেমি’

এ দিকে, ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে গাছ কাটা ও পুকুর ভরাটের ভূরি ভূরি অভিযোগ পেলেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলে থাকেন, অভিযোগ পেলেই দ্রুত পুলিশ ও পুরসভা যেন ব্যবস্থা নেয়। অথচ, ন’দিনেও কেউ ব্যবস্থা নিল না?

An image of trees

—প্রতীকী চিত্র।

মেহবুব কাদের চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩৪
Share: Save:

বটগাছের একাধিক মোটা ডাল কেটে ফেলার খবর পেয়ে তা আটকাতে গিয়েছিলেন বন দফতরের এক আধিকারিক। অভিযোগ, তিনি গাছ কাটার প্রতিবাদ করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে হেনস্থা করেন। বেলেঘাটা থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কলকাতা পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাধামাধব দত্ত গার্ডেন লেনে গত ২১ ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনায় বন দফতরের নিগৃহীত ওই আধিকারিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অভিযোগ, বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও দশ দিন পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করল পুরসভার উদ্যান দফতর!

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি চিনু বিশ্বাসের স্বামী পবিত্র বিশ্বাস সে দিন ঘটনার কিছু সময় পরে থানায় হাজির হন। পবিত্র অতীতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি ছিলেন। অভিযোগ, পবিত্র মধ্যস্থতা করে সমস্যা মিটিয়ে নেন। প্রসঙ্গত, গত বছর একই এলাকায় গাছ কাটার অভিযোগে পবিত্রের বিরুদ্ধেই বন দফতর পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেছিল।

এ দিকে, ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে গাছ কাটা ও পুকুর ভরাটের ভূরি ভূরি অভিযোগ পেলেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলে থাকেন, অভিযোগ পেলেই দ্রুত পুলিশ ও পুরসভা যেন ব্যবস্থা নেয়। অথচ, ন’দিনেও কেউ ব্যবস্থা নিল না? বেলেঘাটা থানার এক আধিকারিকের মন্তব্য, ‘‘অভিযোগ দায়ের করলে নিশ্চয়ই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’ কিন্তু বন দফতর তো সাধারণ ডায়েরি করেছিল। উত্তর এড়িয়ে যান পুলিশের ওই আধিকারিক।

বন দফতরের দাবি, ওই দিনই ঘটনার কথা পুরসভার উদ্যান বিভাগকে জানানো হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, বন দফতর গাছ কাটার অভিযোগ পুরসভাকে জানালে পুর কর্তৃপক্ষকে দ্রুত মামলা রুজু করতে হবে। অথচ, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করেনি পুরসভা! সে কথা মেনে নিয়ে উদ্যান বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি দেখছি।’’ সংশ্লিষ্ট দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘রাধামাধব দত্ত গার্ডেন লেনে গাছ কাটার ঘটনায় বিকেলে বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’

ঘটনার সন্ধ্যায় অভিযোগ পেয়ে বন দফতরের ওই আধিকারিক বেলেঘাটা থানায় ফোন করেন। ফোন বেজে যাওয়ায় লালবাজারে ১০০ ডায়ালেও ফোন করেন বলে দাবি। পবিত্রের দাবি, ‘‘বটগাছের নীচে ১৫টি ঝুপড়ি রয়েছে। গাছটি বিপজ্জনক ভাবে বেঁকে থাকায় বাসিন্দারা ছোট ছোট ডাল কাটেন। গত বছর মন্দির সংস্কারের সময়ে পাশের দু’টি গাছের ডাল কেটেছিলাম। তাতে জরিমানা করেছিল। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tree Cutting Complaints negligence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE