ঝুঁকি: অপরিসর রাস্তা দিয়েই চলছে যাতায়াত। ছবি: অরুণ লোধ
মোটরবাইক চালিয়ে জোকা থেকে তারাতলা যাচ্ছিলেন বেহালার বাসিন্দা শম্ভুনাথ চক্রবর্তী। ২২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরপুকুর জেমস লং সরণি ও মাঝিপাড়ার মোড়ে বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা মোটরবাইকের ধাক্কায় জখম হন তিনি। চিকিৎসার পরে তিনি এখন বিপন্মুক্ত।
শুধু এই ঘটনাই নয়, ওই মোড়ে ট্র্যাফিক সিগন্যাল না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তার উপরে জেমস লং সরণির একটি দিক বন্ধ থাকাটা গোদের উপরে বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ওই মোড়ে রাস্তার এক দিক বন্ধ রেখে নিকাশির কাজ হচ্ছে। ফলে রাস্তা পারাপার করা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, গত সাত মাস ধরে এ ভাবেই রাস্তার এক দিক বন্ধ করে কেইআইআইপি নিকাশির কাজ করছে। কবে শেষ হবে? প্রকল্পের দেখভালে থাকা এক কর্মী বলেন, ‘‘পুজো থাকায় কাজে দেরি হচ্ছে। কুড়ি দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে রাস্তা খুলে যাবে।’’
জেমস লং সরণি ও মাঝিপাড়া মোড়ের সামনেই একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা দীপক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘সামনেই হাসপাতাল ও আশপাশে একাধিক স্কুল থাকায় জায়গাটা খুব ব্যস্ত থাকে। তার উপরে এই পরিস্থিতি। ফলে দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।’’
ওই রাস্তা দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে যান চলাচল করছে। হাসপাতালের সামনে প্রায় তিরিশ বছর ধরে চায়ের দোকান সামলাচ্ছেন লালমোহন ছেত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এই মোড়ে মাঝেমধ্যে পুলিশ থাকে বেশির ভাগ সময়ে তাঁদের দেখা যায় না। এখানে অবিলম্বে সিগন্যাল পোস্ট হলে মানুষ উপকৃত হবেন।’’ ওই মোড়ের সামনে যে হাসপাতাল রয়েছে তার কর্ণধার দয়ানাথ মিশ্রের কথায়, ‘‘এখানে একটি সিগন্যাল পোস্ট চালু করতে পুলিশকে বলেছিলাম।’’ ওই এলাকা ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ডের অধীনে পড়ে। রাস্তা সংস্কার হয়ে গেলেই সিগন্যাল চালু করার আশ্বাস দিচ্ছে ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy