Advertisement
০৯ অক্টোবর ২০২৪
Garbage

বাসিন্দা ও প্রশাসন অসতর্ক, অপরিচ্ছন্ন ট্যাংরা

চারদিকে কাঁচা-পাকা বাড়ি। ঘিঞ্জি এলাকা। মাঝে দু’টি বড় জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে এলাকার জঞ্জাল। ভাসছে থার্মোকলের থালা থেকে প্লাস্টিকের জিনিস।

এমনই অবস্থা পুকুরের। নিজস্ব চিত্র

এমনই অবস্থা পুকুরের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২০ ০৩:০২
Share: Save:

চারদিকে কাঁচা-পাকা বাড়ি। ঘিঞ্জি এলাকা। মাঝে দু’টি বড় জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে এলাকার জঞ্জাল। ভাসছে থার্মোকলের থালা থেকে প্লাস্টিকের জিনিস। ওই জলাশয়ের ধারেই রয়েছে একটি স্কুল। সুতরাং বদ্ধ ওই জল থেকে মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে সেখানেও। এলাকার অনেক বাড়িতেই খোলা পাত্রে জল ধরে রাখা হচ্ছে। এ দিকে, তারই পাশে পড়ে রয়েছে নোংরা। ট্যাংরা রোড সংলগ্ন ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ঘুরলেই বোঝা যায়, বেশির ভাগ বাসিন্দার মধ্যে সচেতনতা নেই।

অথচ বাসিন্দারাই জানাচ্ছেন, প্রতি বছর এলাকায় মশাবাহিত রোগের কারণে জ্বর হওয়াটা নিয়মিত ঘটনা। পুরসভার দাবি, ওই ওয়ার্ডে মশাবাহিত রোগ, বিশেষত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত ঘটেনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় আবর্জনা ফেলার ভ্যাট নেই। তাই তাঁরা পুকুরে নোংরা ফেলেন। সাফাইয়ের কাজে পুরসভার কর্মীরাও অনিয়মিত বলে অভিযোগ।

কলকাতা পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গি প্রবণ ওয়ার্ডগুলির অন্যতম ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডও। পুরসভার দাবি, এলাকা সাফাই অভিযান থেকে শুরু করে মশা নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়। যদিও এলাকার ঘুরে সেই দাবির সত্যতা মেলে না।

স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (বস্তি উন্নয়ন, পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দারের দাবি, “বড় ওয়ার্ড বলে মশা নিয়ন্ত্রণে দু’টি দল নিয়মিত কাজ করে। গত এক বছরে এলাকায় কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হননি।” পাশাপাশি তিনি জানান, অনুন্নত এলাকাটি উন্নতির চেষ্টা হচ্ছে। আবর্জনা ফেলার সমস্যা মেটাতে পরিকল্পনাও রয়েছে। জলাশয় সংস্কারও হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Garbage Tangra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE