চিঠি পাঠিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি। তবুও বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার প্রশ্নে দমদম পুরসভা নির্বিকার বলে অভিযোগ।
পুরসভা সূত্রে খবর, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কে বি সরণিতে নিয়ম ভেঙে একটি আবাসন তৈরি হচ্ছে বলে বছর তিনেক আগে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। ওই আবাসনের প্রোমোটার অমিত দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুর আইন অনুযায়ী রাস্তার পাশে কোনও স্তম্ভে ৪ ফুট ছাড় দেওয়া হয়নি। বাড়ির পিছনে যেখানে ১২ ফুট ‘স্কাই লেভেল’ থাকার নিয়ম সেখানে এই আবাসনের ‘স্কাই লেভেল’ হল মাত্র ৪ ফুট! ছাড়ে কারচুপি ছাড়াও প্রোমোটার ১৬ ফুট রাস্তায় ছ’তলা বাড়ি তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ।
পুর কর্তৃপক্ষ আশানুরূপ পদক্ষেপ না করায় ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী। চলতি বছরের ৩০মে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট (এটিআর) চেয়ে পুর প্রধানকে চিঠি দেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি। সূত্রের খবর, সেই চিঠিতে দ্রুত সংশ্লিষ্ট নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে এটিআরের প্রতিলিপি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠানোর কথাও বলা হয়। এর পরে দেড় মাস কেটে গেলেও পুরসভার তরফে এটিআর পাঠানো হয়নি বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা। এরই মধ্যে গত ১৫ জুন ওই বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলে আর একটি চিঠি দেয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।
পুরসভা সূত্রের খবর, ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও দমদম পুরসভার তরফে কেবল প্রোমোটারকে দু’টি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি দু’টির মূল বক্তব্য হল, পুরসভা অনুমোদিত নকশার বাইরে আবাসনের নির্মীয়মাণ অংশ প্রোমোটারকে ভেঙে ফেলতে হবে। মঙ্গলবার অমিতবাবু বলেন, ‘‘অনুমোদনের বাইরে একটি তলা তৈরি করেছিলাম, সেটি ভেঙে দেব। পুরসভাকে তা জানিয়েও এসেছি। চার ফুট ছাড় আছে। পিছনের দিকে দু’ফুট বাড়িয়েছিলাম, সেটা ঠিক করে দেব। এ ছাড়া সব ঠিকই আছে।’’
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পুর আইন অনুযায়ী, ১৬ ফুট রাস্তায় তিনতলার বেশি প্ল্যান অনুমোদন হওয়ার কথা নয়।’’ বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, রাজনৈতিক নেতৃত্বের ‘প্রশ্রয়ে’ দমদম জুড়ে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বেপরোয়া প্রোমোটারদের একাংশ।
পুরপ্রধান হরীন্দ্র সিংহ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘নবান্ন ও সরকারি দফতরের চিঠি পাওয়ার আগে পুরসভা প্রোমোটারকে নোটিস পাঠিয়েছে। প্রোমোটার
ছ’নম্বর তলাটি না ভাঙলে পুরসভাই ভেঙে দেবে।’’ কিন্তু ১৬ ফুট রাস্তায় পাঁচতলা বাড়ির অনুমোদন কী ভাবে দেওয়া হল? হরীন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘গত পুরবোর্ড নকশা অনুমোদন করেছিল। আমাদের পুরসভায় এই নিয়মই চলে আসছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy