Advertisement
০৩ মে ২০২৪
পুর নিগমের ভোট

সিন্ডিকেট নিয়ে সরব বিরোধীরা, নস্যাৎ তৃণমূলের

বিধাননগর পুর-নিগম নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বিধাননগর এলাকা সিন্ডিকেটের আখড়া। বাড়ি তৈরি করতে মানুষ আতঙ্কিত। তৃণমূলের দু’টি দলের মধ্যে হিংসার চোরা স্রোত চলছে।’’

তৃণমূল প্রার্থী নীলাঞ্জনা স্যানালের সঙ্গে পদযাত্রায় বিধায়ক সুজিত বসু, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব গুরবক্স সিংহ, গৌতম সরকার প্রমুখ। শনিবার, সল্টলেকে। — নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল প্রার্থী নীলাঞ্জনা স্যানালের সঙ্গে পদযাত্রায় বিধায়ক সুজিত বসু, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব গুরবক্স সিংহ, গৌতম সরকার প্রমুখ। শনিবার, সল্টলেকে। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:৩৩
Share: Save:

বিধাননগর পুর-নিগম নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বিধাননগর এলাকা সিন্ডিকেটের আখড়া। বাড়ি তৈরি করতে মানুষ আতঙ্কিত। তৃণমূলের দু’টি দলের মধ্যে হিংসার চোরা স্রোত চলছে।’’

শনিবার কৈখালির যে ওয়ার্ডে অধীরবাবু প্রচারে যান সেখানে এ বার কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আপ্ত সহায়ক দেবরাজ চক্রবর্তী। ভোটে দাঁড়ানোর ঠিক আগে দেবরাজবাবু মন্ত্রীর সচিবালয় ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। যা তৃণমূলের পক্ষে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনার।

যদিও আপাতদৃষ্টিতে বিধাননগর পুর-নিগম ভোটে তৃণমূল কিছুটা শক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে। তবুও রাজারহাটে সিন্ডিকেট চক্র ঘিরে তৃণমূলের উপরতলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্য ঘটনা। তাই ভোটের বাজারে এক দিকে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন গোষ্ঠী নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন, তখনই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তৃতায় সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রতি ইঙ্গিত তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকের অভিমত।

কংগ্রেসের মতো বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহও এ দিন বিধাননগর পুর-নিগমের ভোট প্রচারে গিয়ে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গ তোলেন। জ্যাংড়ার সভায় তাঁর মন্তব্য, ‘‘মমতা মুখে যাই বলুন, সিন্ডিকেটের মাথারা সবাই তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে নেমে পড়েছেন।’’

সিন্ডিকেট নিয়ে বিরোধীদের এই সব মন্তব্য নস্যাৎ করে এ দিনই রাজারহাটের প্রচারসভায় তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘সিন্ডিকেট ভিত্তিক রাজনীতি তৃণমূূল করে না। আমাদের নেত্রী এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। রাজারহাটে সিন্ডিকেট এসেছে সিপিএম নেতাদের হাত ধরেই।’’

ভোটে সন্ত্রাসের আশঙ্কাও জানান কংগ্রেস ও বিজেপির দুই রাজ্য সভাপতি। অধীরবাবুর অভিযোগ, ‘‘পুর নির্বাচনের আলোচনা হওয়া উচিত ছিল পুর-পরিষেবাকে নিয়ে। কিন্তু সন্ত্রাসই বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের এত ভয় কীসের? তৃণমূল এবং পুলিশের বন্ধনে মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠেছে।’’ রাহুলবাবুর বক্তব্য, ‘‘ভোটে সন্ত্রাস না হলে জনগণ যোগ্য জবাব দেবে।’’ তৃণমূল নেতাদের জবাব, ‘‘হারার আগেই হেরে গিয়ে এই সব অজুহাত।’’

তৃণমূল প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রচারসভায় শুভেন্দুবাবুর দাবি, ‘‘গত পাঁচ বছরে রাজ্যে যে উন্নয়ন হয়েছে সেই নিরিখেই বিধাননগরের উন্নয়ন চোখে দেখা যাচ্ছে।’’ সিপিএম-এর মেয়র পদপ্রার্থী, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে রাজ্যকে ঋণগ্রস্ত করে যাওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bidhannagar Election campaign Trinamool
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE