পুরসভার জল সরবরাহ দফতরে চাকরি হয়েছে তাঁর। এমনই এক ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার’ নিয়ে মঙ্গলবার হাতিবাগানে পুরসভার অফিসে হাজির হয়েছিলেন নদিয়ার গয়েশপুরের পঙ্কজ পাল। নিরাপত্তকর্মীর কাছে জানতে চান, জল সরবরাহ দফতরটা কোথায়? পরে হাজির হন জল সরবরাহ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে। তিনি বিষয়টি শুনেই পঙ্কজকে বলেন ডেসপ্যাচে চিঠি জমা দিন। তাঁর কথা মতো চিঠিটি পুরসভার ডেসপ্যাচে জমা দিয়ে চলে যান ওই যুবক। পুরসভারই এক অফিসারকে জানিয়ে যান, বুধবার চাকরিতে যোগ দিতে আসবেন।
ওই যুবক চলে যাওয়ার পরে নিয়োগপত্র চলে যায় পার্সোনেল দফতরে। সেটি দেখে হতবাক পুর প্রশাসন। দেখা যায়, ওই নিয়োগপত্রটি জাল। তড়িঘড়ি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কানে খবরটি তোলা হয়। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানার জন্য পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে পুর প্রশাসন।
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন সকালে ওই যুবক হাতিবাগানের অফিসে জমা দেন নিয়োগপত্রটি। তাতে লেখা ছিল, জল সরবরাহ দফতরে গ্রুপ ডি পদে তাঁর চাকরি হয়েছে। পে-স্কেল ৭৩০০-১৯৫০০ টাকা। সঙ্গে অন্যান্য সুবিধা। পুরসভার ডেসপ্যাচে চিঠিটি জমা দিয়ে চলে যান ওই যুবক। তাঁকে পুরসভার পার্সোনেল দফতরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পরে চিঠিটি হাতে পেয়েই চোখ কপালে ওঠে জল সরবরাহ দফতরের অফিসারের। পুরসভা যে ধরনের নিয়োগপত্র দেয়, তার সঙ্গে কোনও মিল নেই। ওই নিয়োগপত্রে পুরসভার লোগোর সঙ্গে অশোকস্তম্ভের চিহ্নও ছিল। কিন্তু পুরসভার দেওয়া নিয়োগপত্রে অশোকস্তম্ভ থাকে না। তার উপর এমপ্লয়ির কোড নম্বর দেওয়া রয়েছে ডব্লিউ বাই এস ১২৭৫।
মেয়র বলেন, ‘‘কোনও এক চক্র মোটা টাকার বিনিময়ে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছে। তার হদিস বের করতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’ পুরসভার ভিতরের কেউ জড়িত কি না, জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘‘তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কেউ টাকা চাইলে সতর্ক থাকবেন। তেমন হলে পুলিশকে খবর দিন।’’ তিনি জানান, এ দিন যে জাল নিয়োগপত্র ধরা পড়েছে, হতে পারে আরও কেউ একই ভাবে প্রতারিত হয়েছে। তদন্তে সব ধরা পড়বে বলে তাঁর আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy