Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Jadavpur University Student Death

কাশ্মীরে ট্রেকিংয়ে প্রাক্তন ছাত্রনেতা, নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন

মৃত ছাত্রের পরিবার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না আনলেও ক্যাম্পাসে অভিযোগ, ঘটনার পর অভিযুক্ত ছাত্রনেতা সৌরভ চৌধুরী এক প্রাক্তন ছাত্রনেতাকে ফোন করেছিলেন।

representational image

—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP

সায়ন্তনী ভট্টাচার্য, সোহিনী মজুমদার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৩ ০৮:২৩
Share: Save:

যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনার পর তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এসএফআই। সমাজমাধ্যমেও তাঁকে দোষারোপ করা হয়। কিন্তু তিনি এখনও নিরুত্তর।

জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন ‘ফেটসু’ নেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু একটি ট্রেকিং সংস্থার সঙ্গে কাশ্মীর গ্রেট লেক (কেজিএল) ট্রেকে গিয়েছিলেন। ট্রেকিং শেষের পরে এই মুহূর্তে তিনি কাশ্মীরেই আছেন, না কি কলকাতা ফিরছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। এ দিনও তাঁকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। ওই সংস্থা সূত্রে খবর, ট্রেক শুরু হয়েছিল ১৩ অগস্ট। চলেছে ১৯ অগস্ট পর্যন্ত। ট্রেকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা, অনুমতিপত্র আগে থেকেই ছিল।

মৃত ছাত্রের পরিবার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না আনলেও ক্যাম্পাসে অভিযোগ, ঘটনার পর অভিযুক্ত ছাত্রনেতা সৌরভ চৌধুরী এক প্রাক্তন ছাত্রনেতাকে ফোন করেছিলেন। সেই প্রাক্তন নেতা অরিত্র, এমন অভিযোগ পুলিশের কাছেও পৌঁছয় বলে সূত্রের দাবি। যদিও এ বিষয়ে লালবাজার থেকে বার বারই প্রকাশ্যে বলা হয়েছে, ওই প্রাক্তন ছাত্রনেতার খোঁজ তারা আদৌ করেনি। প্রসঙ্গত, ঘটনার পর এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘সেই রাতে গেট বন্ধ করে রাখা, পুলিশকে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশের পিছনে অরিত্র মজুমদার-সহ দুই নেতার কী ভূমিকা ছিল? প্রভাবশালীর হাত মাথার উপরে আছে বলেই কি পুলিশ-প্রশাসন এ সব দেখেও দেখছে না?’’ আর একটি ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) অরিত্র এবং আর এক জন ছাত্রনেতার নাম উঠে এলেও অরিত্রের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্য ছাত্রনেতাটি অবশ্য দীর্ঘ পোস্ট করেছিলেন।

৯ অগস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নীচে ওই ছাত্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পর দিন সকালে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

অরিত্র বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ গবেষণা করছেন। ওই বিভাগের প্রধান পার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘১১ অগস্টও বিভাগীয় প্রধানের দফতরে উপস্থিতির খাতায় অরিত্রের স্বাক্ষর রয়েছে।’’ তবে সমাজমাধ্যমে এত অভিযোগ সত্ত্বেও অরিত্র আত্মপক্ষ সমর্থনে সামনে আসেননি। ক্যাম্পাসে চর্চা, যাঁকে সব সময় মিছিলের সামনে দেখা যায়, এত বড় ঘটনার পর তিনি কেন সামনে এলেন না? কলকাতা জেলার এসএফআইয়ের সভাপতি দেবাঞ্জন দে সোমবার ফের অভিযোগ করেন, ‘‘অরিত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ডিএসএফের নেতা। যাদবপুরের মেন হস্টেলের দখলদারির সাথে অরিত্রদের সংগঠন যুক্ত।’’ এই সব অভিযোগের উত্তর জানতে ফোন করা হলেও অরিত্র ফোন ধরেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE