বিরাট পুলিশ বাহিনী নেমেছে এলাকায়। ছবি: সৌভিক দে।
দুই পাড়ার সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল মানিকতলা । ১৫ অগস্ট রাত থেকে শুরু হওয়া মারামারিতে ইতিমধ্যেই জখম অনেকে। রেল লাইনের দু’পাশে অবস্থিত দুই পাড়ার সংঘর্ষে রেল যাত্রীদের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। আরপিএফ, বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ নামাতে হয়েছে ঘটনাস্থলে। বিক্ষোভ শুরু হয় মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সাধন পাণ্ডের বাড়ির সামনেও। পুলিশ লাঠি চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে। গোটা এলাকা এখনও উত্তপ্ত।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকতলা থানা এলাকার কৃষ্ণপল্লির যুবক বাবাই দাস রাতে সুভাষপল্লিতে গিয়েছিলেন রুটি কিনতে। পার্শবর্তী নতুনপল্লির যুবক কমল তাঁকে ফুটবল ম্যাচ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেন। তা নিয়ে দু’জনের বচসা শুরু হয়। এর কমল এবং নতুনপল্লির আরও কয়েকজন বাবাইকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। কৃষ্ণপল্লিতে এই ঘটনার খবর পৌঁছতেই সেখানকার লোকজন নতুনপল্লিতে চড়াও হয়। দু’পক্ষে প্রবল সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। গভীর রাতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয়। তবে ততক্ষণে দু’পক্ষেরই অনেকে জখম। হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছে বেশ কয়েক জনকে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয় কৃষ্ণপল্লি এবং নতুনপল্লির মধ্যে। ভাঙচুর, মারধর চলতে থাকে যথেচ্ছ। তার পর রেল লাইনের দু’পাশে অবস্থিত দুই পাড়ার লোকজন পরস্পরের দিকে ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করে। কাচের বোতাল ছুড়ে মারা শুরু হয়। রেল যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রথমে আরপিএফ পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। কৃষ্ণপল্লি এবং নতুনপল্লিতে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় র্যাফ নামাতে হয়। সংঘর্ষে অনেকেই জখম হয়েছেন। পুলিশ এবং র্যাফের লাঠি চালনাতেও অনেকে জখম হন। এর পর পুলিশি পদক্ষেপের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী তথা মানিকতলার বিধায়ক সাধন পান্ডের বাড়ির সামনে। পুলিশ সেখানেও লাঠি চালায়। তাতে এক মহিলা জখম হন। এর পর মন্ত্রী নিজেই হস্তক্ষেপ করেন। তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হলে লাঠিচার্জের প্রয়োজন নেই বলে পুলিশকে জানিয়ে দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিধি-বিবাদে যাদবপুরে কাজ বন্ধের ডাক আজ
গোটা এলাকাতেই পরিস্থিতি এখনও থমথমে। তবে যে বাবাই দাস এবং কমলের মধ্যে বচসার জেরে গোলমাল শুরু বলে অভিযোগ, সেই কমলের দাবি, বাবাই দাস নামে কাউকে তিনি চেনেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy