আকাশ ঢেকেছে কালো ধোঁয়ায়। মঙ্গলবার, ভাঙড়ে। — নিজস্ব চিত্র
আগুনে ছাই হয়ে গেল একটি রবারের জুতো তৈরির কারখানার একাংশ। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় থানার বড়ালি এলাকায়। জখম হয়েছেন দুই মহিলা শ্রমিক-সহ পাঁচ জন। তাঁদের প্রথমে নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আহতদের শরীরের বেশ খানিকটা অংশ আগুন ঝলসে গিয়েছে।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, জুতোর কারখানার দোতলায় একটি ঘরে এ দিন প্রথমে আগুন লাগে। নিমেষে তা ছড়িয়ে পড়ে। জুতোর সোলে আগুন ধরায় চারদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। কারখানার মালিক শাহনাজ আলম জানিয়েছেন, প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস পুড়ে গিয়েছে। দমকল জেনেছে, সপ্তাহখানেক আগেই ওই কারখানায় নতুন ওয়্যারিং করা হয়েছিল। এ দিন সেখানেই আগুন লাগে। দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই দুর্ঘটনা। শাহনাজ বলেন, ‘‘কলকাতার কারখানা থেকে জুতোর সোল এনে রাখা হচ্ছিল এখানে। এ দিন যখন আগুন লাগে, তখন জনা দশেক শ্রমিক কাজ করছিলেন।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ভাঙড় এলাকায় ট্যানারি-সহ বহু কারখানা রয়েছে। আছে অতি দাহ্য বিভিন্ন জিনিসের গুদামও। কিন্তু কোনও দমকল কেন্দ্র নেই। এ দিন আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দমকলমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি ভাঙড়ে একটি দমকল কেন্দ্র গড়ার আশ্বাস দিয়েছেন। শোভনবাবু বলেন, ‘‘আটটি ইঞ্জিন থাকতে পারে এমন দমকল কেন্দ্রে গড়া হবে।’’ অবিলম্বে জমির ব্যবস্থা করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা পরিষদের সদস্য কাইজার আহমেদকে নির্দেশ দেন মেয়র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy