শহরের রাস্তায় ফের দেখা যেতে পারে এমন দৃশ্য।
ব্রিটিশদের হাত ধরে দোতলা বাসের স্বাদ পেয়েছিল শহর। সময়ের সঙ্গে নব্বইয়ের দশকে শহর থেকে তা হারিয়েছে। ফের সেই দোতলা বাসের স্মৃতি ফেরাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। শহরের রাস্তায় চার-পাঁচটি দোতলা বাস চালাবে পরিবহণ দফতর— বুধবার বিধানসভায় এ কথা জানান পরিবহণমন্ত্রী
শুভেন্দু অধিকারী।
লন্ডন সফরে গিয়ে সেখানের দোতলা বাস চোখে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার পরেই এ রাজ্যে লন্ডনের ধাঁচে দোতলা বাস চালাতে পরিবহণ দফতরকে বলেছিলেন তিনি। এর পরে লন্ডনে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যান পরিবহণ দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক। তিনি ফেরার পরে এ নিয়ে ফাইলও তৈরি হয়েছে বলে খবর। তবে এখনও পর্যন্ত এ জন্য কোনও টেন্ডার হয়নি বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
শহরের কোন প্রান্তে এই বাস চালানো হবে, তা-ও অবশ্য স্থির হয়নি বলে দাবি পরিবহণমন্ত্রীর। দফতর সূত্রের খবর, মোট দশটি দোতলা বাস আনার পরিকল্পনা হয়েছে। তার মধ্যে চার-পাঁচটি আসবে প্রথম স্তরে। পরবর্তীতে তা বাড়ানো হবে। এক পরিবহণ কর্তার দাবি, ‘‘পুজোর আগে দোতলা বাস চালু করা কার্যত সম্ভব নয়। তবে দ্রুতই দোতলা বাসের পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে। এখন বিষয়টি প্রাথমিক স্তরেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।’’ প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, দোতলা বাস জয় রাইডের জন্য ব্যবহার হবে। রাজারহাট-নিউ টাউনে তা দেখা যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। এমনকি, পুরনো দোতলা বাসের তুলনায় কিছুটা আকারে ছোটও হতে পারে বাসগুলি। তা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে নাকি একেবারে লন্ডনের ধাঁচে খোলা ছাদের দোতলা বাস হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। পরিবহণ দফতরের কর্তাদের একাংশের মতে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করতে হলে বাসের আকার বড় করতে হবে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে ছোট বাসের পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। অন্য একটি অংশের মতে, এ রাজ্যের আবহাওয়ার সঙ্গে লন্ডনের আবহাওয়ার ফারাক রয়েছে। সে ক্ষেত্রে লন্ডনের মতো এখানে ছাদ খোলা বাস চালানো যথেষ্ট সমস্যার হতে পারে। নতুন দোতলা বাসগুলিতে ক্যাফেটেরিয়া রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হারিয়ে যাওয়া বাসের স্মৃতি ফেরাতে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি একটি পুরনো দোতলা বাসকে সংস্কার করে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। পুরনো হওয়ার কারণে তা শহরের মূল অংশে চালানো হয়নি। জয় রাইডের জন্য তা ইকো পার্কের চার নম্বর পার্কিং থেকে ইকো আর্বান ভিলেজ পর্যন্ত চলছে। উল্লেখ্য, একদা গড়িয়া-হাওড়া, গোলপার্ক-ডানলপ, ঢাকুরিয়া-শিবপুর, বালিগঞ্জ-পাইকপাড়া, বালিগঞ্জ-বাগবাজার, চেতলা-পাইকপাড়া, উল্টোডাঙা-হাওড়া—সহ আরও কয়েকটি রুটে শহরে দোতলা বাস চলত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy