খবরটা পেলে হয়তো একটু মন খারাপ হবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির। ক’বছর আগে কলকাতায় এসে তার টানেই লালবাজারে হাজির হন তিনি। কলকাতা পুলিশের লাল টুকটুকে রয়্যাল এনফিলড বুলেটে সওয়ার হয়ে লালবাজার-চত্বরে বেশ কয়েক পাক ঘোরেন মাহি। ক্রিকেটের ‘ক্যাপ্টেন কুল’-এর সেই প্রিয় বাহন তার মর্যাদার আসন থেকে উৎখাত
হতে চলেছে।
রাজপথে ‘ভিআইপি’-দের পথ দেখাতে এ বার আসছে আর এক মহাতারকা মোটরবাইক। হলিউডি সিনেমার দৌলতে আমবাঙালির চেনা নাম, হার্লে ডেভিডসন। এ দেশে গুজরাত পুলিশ অবশ্য ওই মোটরবাইকই ব্যবহার করে।
সাবেক মহাকরণ রাইটার্স বিল্ডিংসের লাল ইটের টালির খোঁজ করতেও প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতে তত্ত্ব-তালাশ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এ বার কলকাতা পুলিশের
ভিআইপি ডিউটির পাইলট হিসেবে পছন্দের বাহন নিয়েও চলছে হাল্কা রসিকতা। পুলিশ মহলেই বলাবলি হচ্ছে, তা হলে দিদির পুলিশও মোদীর পথে হাঁটবে!
কেন এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু সাদা উর্দির সানগ্লাসধারী পুলিশ সার্জেন্টদের নিয়ে বুলেটের লাল টুকুটুকে রংটা তো এতদিন কলকাতা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন হয়ে উঠেছিল।
তা হলে কেন এই পরিবর্তন? লালবাজারের কর্তারা যু্ক্তি দিচ্ছেন, নতুন মোটরবাইকের পিকআপ বা গতি বেশি, ভিআইপি কনভয়ের জন্য যা বেশি মানানসই। কিন্তু তেল খরচ কম। বুলেটের তুলনায় ওজনেও খানিকটা হাল্কা। অথচ সওয়ারীদের জন্য মোটরবাইকটি ঢের বেশি আরামপ্রদ ও নিরাপদ।
সংস্থার ওয়েবসাইট বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশবাহিনীতেই এই মোটরবাইকের কদর রয়েছে। পুলিশের জন্য আলাদা একটি মডেলও রয়েছে।
বিভিন্ন হলিউডি সিনেমায় মার্কিন মুলুকের পুলিশ অফিসারদের যে মোটরবাইকে চেপে ঘুরতে দেখা যায়, মহানগরের রাস্তাতেও তাতে চেপেই পুলিশ অফিসারেরা ঘুরবেন কি না তা অবশ্য এখনই খোলসা করেননি লালবাজারের কর্তারা।তবে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে অচিরে দেখা যেতেই পারে নতুন বাহনটিকে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার-২ বিনীত গোয়েল জানান, আপাতত কেনা হচ্ছে ওই সংস্থার পাঁচটি মোটরবাইক। এক-একটির দাম পড়বে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। নতুন বাহনে অফিসারদের ধাতস্থ করার তালিমও শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানাচ্ছেন লালবাজারের কর্তারা।
পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে বুধবারই শহরে মোটরবাইক র্যালি করেছে কলকাতা পুলিশ।
সেই র্যালিতেও শুধু হার্লে ডেভি়ডসন বাইকই ছিল। সেই বাইক চালিয়ে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেরিয়েছেন খোদ ডিসি (ট্র্যাফিক) ভি সলোমন নেসাকুমার। লালবাজারের
বাহিনীর হবু বাহনটিকে নিয়ে পুলিশ অফিসারেরা অনেকেই এখন রীতিমতো আগ্রহে ফুটছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy