প্রথমে রাস্তা অবরোধ করে নাগরিক দুর্ভোগ। তার পরে রাস্তার ব্যারিকেড ভেঙে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের পরিস্থিতি তৈরি করা। স্কাইওয়াকের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই দু’ভাবে বিক্ষোভ শুরু করলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সামনের রাস্তার দোকানদাররা। রাতে ছিল তাঁদের প্রতিবাদ মিছিল। তবে কোনও কিছুই অবশ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের তাঁদের অবস্থান থেকে নড়াতে পারেনি। শীর্ষ নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্কাইওয়াকের পথে সমস্ত বাধার ক্ষেত্রে অটল রয়েছেন তাঁরা। কোনও রকম আপসের পথে না হেঁটে এই প্রকল্প হবেই।
তবে দোকানদারদের বিক্ষোভ রুখতে পুলিশ ও প্রশাসন যথেষ্ট সতর্ক ছিল। আগামী ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে দোকানদারদের অস্থায়ী জায়গায় সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ পালন হল কি না, তার রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিতে হবে ২১ তারিখ। এই পরিস্থিতিতে এ দিন রাস্তা অবরোধ, ব্যারিকেড ভাঙা হলেও প্রশাসন এমন কিছু কড়া পদক্ষেপ নিতে চায়নি, যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারেট নীরজ সিংহ বলেন, ‘‘আমরা পুরসভাকে সহযোগিতা করছি। আদালত ১৯ তারিখের মধ্যে দোকানদারদের সরে যেতে বলেছেন। সেই কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করতে বলেছেন। আমরা তাই নিজে থেকে কোনও পদক্ষেপ করছি না।’’