ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরভোটের দিন গিরিশ পার্কে গুলি চালিয়ে পুলিশ অফিসারকে জখম করার মামলায় বিচারকের বদলি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা পুলিশ। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মধুমতী মিত্র আবেদন মঞ্জুর করেননি। তবে বিচারপতি মিত্র কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন, যে সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব মাঝপথে শেষ হয়ে গিয়েছে, পুনরায় তাঁদের সাক্ষ্য নিতে।
পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল পুরভোটের দিন বিকেলে দুষ্কৃতীদের গুলিতে গিরিশ পার্ক থানার প্রাক্তন সাব ইনস্পেক্টর জগন্নাথ মণ্ডল (বর্তমানে কসবা থানার অতিরিক্ত ওসি) জখম হন। অভিযোগ, মধ্য কলকাতার দুষ্কৃতী গোপাল তিওয়ারির দলবল ওই দিন গোলমাল করার উদ্দেশ্যে গিরিশ পার্ক থানার এলাকার বারাণসী ঘোষ স্ট্রিটে হাজির হয়। খবর পেয়ে জগন্নাথ মণ্ডল সেখানে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তদন্তকারীদের দাবি, তখন গোপাল ঘটনাস্থলে হাজির ছিল। পরে পুলিশ ওই মামলায় যুক্ত গোপাল-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, সাক্ষীদের বয়ান ঠিক মতো আদালতের রেকর্ডে নথিভুক্ত করা হচ্ছে না। তাই হাইকোর্টে ওই আবেদন করা হয়।
এ দিন সরকারি কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলার বিচার নিম্ন আদালতে সেপ্টেম্বর মাসে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে বিচার শেষ না হলে কোনও দিনই আর বিচার হবে না, এমন কথা বলেনি। তিনি আরও জানান, হাওড়া আদালতে আইনজীবীদের উপরে হামলার প্রতিবাদে ২৫ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতি করেন আইনজীবীরা। এক মাস কলকাতার নগর দায়রা আদালতেও কাজ বন্ধ ছিল। নিম্ন আদালত বলতে পারে না, আর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে না। তা ছাড়া ওই মামলায় একাধিক সাক্ষী হিন্দিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, কিন্তু তাঁদের বয়ান নথিভূক্ত হয়েছে ইংরেজিতে। সাক্ষীরা ভাবতেই পারেন, সাক্ষ্যগ্রহণ ঠিক মতো হয়নি।
হাইকোর্টে গোপালের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, পুলিশই ঠিক মতো সাক্ষ্য দেওয়াতে চাইছে না। ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরি করছে। মামলা অন্য বিচারকের কাছে পাঠানোর কোনও অর্থ নেই।
নিম্ন আদালতে গোপালের আইনজীবী ফজলে আহমেদ জানান, তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মামলার বিচারপর্ব শেষ করতে চান। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশই দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy