Advertisement
০২ মে ২০২৪
Dengue Control

ডেঙ্গি ঠেকাতে জরিমানায় জোর দিতে চায় পুরসভা

পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মশার সম্ভাব্য আঁতুড়ঘর সম্পর্কে নাগরিকদের সতর্ক করেও কাজ না হলে পুর আইনের ৪৯৬ (এ) ধারায় নোটিস পাঠানো হচ্ছে। ওই নোটিসে জল জমানো এড়াতে সংশ্লিষ্ট নাগরিককে সতর্ক করা হয়।

An Image Of Kolkata Municipality

কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪ ০৭:৫১
Share: Save:

ভাল ভাবে বুঝিয়ে কাজ হচ্ছে না। তাই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে জরিমানার পথে হাঁটতে চায় কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, এই জরিমানার পরিমাণ এক হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে। গত বছর ডেঙ্গি অধ্যুষিত ১০ নম্বর বরোর ক্ষেত্রে জরিমানার পথেই হেঁটেছেন কর্তৃপক্ষ।

পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মশার সম্ভাব্য আঁতুড়ঘর সম্পর্কে নাগরিকদের সতর্ক করেও কাজ না হলে পুর আইনের ৪৯৬ (এ) ধারায় নোটিস পাঠানো হচ্ছে। ওই নোটিসে জল জমানো এড়াতে সংশ্লিষ্ট নাগরিককে সতর্ক করা হয়। সেই নোটিসেও কাজ না হলে আইনভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে মিউনিসিপ্যাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা রুজু করছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘মানুষ সচেতন না হলে পুরসভার একার পক্ষে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। তাই প্রশাসনের তরফে কঠোর পদক্ষেপ করতে আমরা বাধ্য হচ্ছি।’’

কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা গত বছর বেশি ছিল। তবে উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় অধিক আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। ডেঙ্গিতে দক্ষিণ কলকাতায় সর্বাধিক আক্রান্ত মিলেছিল পুরসভার ১০ নম্বর বরো থেকে। ওই বরোর ৮১ নম্বর ওয়ার্ডে সব থেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল।

পুর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কেবল ১০ নম্বর বরোর ১৭টি ওয়ার্ডের আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কলকাতা পুরসভার মিউনিসিপ্যাল
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা রুজু করে সম্প্রতি ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। যার মধ্যে কেবল ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩টি ক্ষেত্রে আদায় হয়েছে ৭ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।

পুর স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, শুধু ৮১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই গত বছর ডেঙ্গিতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ওয়ার্ডের আলিপুর, নিউ আলিপুরের বড় বড় আবাসন ছাড়াও বস্তি এলাকাতেও ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, বাড়ি বাড়ি জমা জলে ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় গত বছর তেরো হাজারের বেশি বাড়িতে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। ওই নোটিসের পরোয়া না করায় ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা রুজু হয়েছিল। সেই ১৪৫টি কেসের মধ্যে ১১৮টির রায়দান এখনও বাকি রয়েছে।

কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘ডেঙ্গির বিরুদ্ধে বছরভর মানুষকে সচেতন করার ও সক্রিয় রাখার উদ্যোগ নেয় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু নাগরিকদের একটা অংশ আজও অসচেতন। ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ মূলত এটাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE