ফের ডেঙ্গিবাহী মশার লার্ভা মিলল জোকার ইএসআই হাসপাতালে। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে একাধিক বার সেখানে মশার লার্ভা মেলায় নোটিস পাঠিয়েছিল পুরসভা। এমনকী মশা নিধনের কাজে যথাযথ ব্যবস্থা না-নেওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল কলকাতা পুর প্রশাসন। এর পরেও তেমন সজাগ হননি ওই হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ— এমনই অভিযোগ কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের।
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের র্যাপিড অ্যাকশন টিম মশার উৎস বিনাশে গিয়ে ফের সেখানে প্রচুর পরিমাণে ডেঙ্গি রোগের বাহক এডিস ইজিপ্টাইয়ের লার্ভা পেয়েছে। ওই টিমে ছিলেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষও। তাঁর কথায়, ‘‘পুরসভার কর্মীরা বারবার বলা সত্ত্বেও পরিস্থিতি বদলায়নি। এমনকী ওই কর্মীদের কথায় এত দিন গুরুত্বও দিচ্ছিলেন না কর্তৃপক্ষ।’’ আশা করি এ বার ইএসআই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে নজর দেবেন।
স্বাস্থ্য দফতরের এক অফিসার জানান, ওই হাসপাতালের ভিতরে মূলত যে সব জায়গায় নির্মাণের কাজ চলছে সেখানেই লার্ভার পরিমাণ বেশি দেখা গিয়েছে। ইএসআই হাসপাতালের ভিতরে সিইএসসি-র কর্মীদের থাকার জায়গা রয়েছে। সেখানে দু’টি বড় জলাধারে, জেনারেটর রুমের পাশে, সিমেন্ট রাখার ঘরের পাশে, নির্মাণকারী সংস্থার অফিসের পাশে জমা জলে, চৌবাচ্চায় এডিসের বংশবৃদ্ধির সন্ধান মিলেছে। হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের পিছনে পড়ে থাকা থার্মোকলের বাক্সেও মিলেছে মশার লার্ভা।
ইএসআই হাসপাতাল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে বলেই কী অভিযান হল?
এই প্রশ্নের জবাবে অতীনবাবু বলেন, আরজিকর, নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম-সহ কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতেও নিয়মিত অভিযান করে পুরসভার টিম। মশার বংশবৃদ্ধি রোধের ক্ষেত্রে রাজ্য না কেন্দ্র এ সব দেখা হয় না।’’
অভিযানের পরে কী বলছেন ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?
হাসপাতালের সুপার সমীর চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় যা যা পদক্ষেপ করা দরকার, তা হবে।’’ অতীনবাবু জানান, দরকারে পুরসভার টিম তাঁদের সহায়তা দেবে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পুরসভাকে জানানো হয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থার উপরে হাসপাতাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে। হাসপাতালে সংস্কারের কাজ চলছে। তাই কিছু কিছু জায়গার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অসুবিধা হচ্ছে। তবে দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy