Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Eastern Metropolitan Bypass

সরকারি জমি থেকে সরবে দোকান

কলকাতার সঙ্গে সড়কপথে দক্ষিণ শহরতলির যোগাযোগ সহজ করতে বারুইপুর থেকে এই বাইপাসের কাজ শুরু হয়েছিল বাম আমলে।

সরানো হবে সাদার্ন বাইপাসের ধারের এই দোকানগুলিই। নিজস্ব চিত্র

সরানো হবে সাদার্ন বাইপাসের ধারের এই দোকানগুলিই। নিজস্ব চিত্র

সমীরণ দাস
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:২৮
Share: Save:

কামালগাজি থেকে বারুইপুর পর্যন্ত সাদার্ন বাইপাসের সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করছে প্রশাসন। ফলে বাইপাসের ধার থেকে তুলে দেওয়া হবে বেআইনি দোকান। এর জেরে বাইপাসের ধারের শ’খানেক ঝুপড়ি দোকান তুলে দেওয়া হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

কলকাতার সঙ্গে সড়কপথে দক্ষিণ শহরতলির যোগাযোগ সহজ করতে বারুইপুর থেকে এই বাইপাসের কাজ শুরু হয়েছিল বাম আমলে। আদিগঙ্গার দু’দিকে দু’লেনের রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে বেশ কয়েক বছর হল। বছর চারেক আগে কামালগাজি সেতু চালু হওয়ার পরে এই রাস্তা সরাসরি সংযুক্ত হয়ে গিয়েছে ইএম বাইপাসের সঙ্গে। ফলে অনেক সহজেই এখন দক্ষিণ শহরতলি থেকে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে মূল শহরে। এখনও এই রাস্তায় কোনও যাত্রিবাহী গাড়ি না চললেও, ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে অসংখ্য।

বেশ কিছু দিন হল আদিগঙ্গার ধার ধরে ওই রাস্তার সৌন্দর্যায়ন শুরু করেছে প্রশাসন। বারুইপুরের দিকে বাইপাসের কিছু অংশে কাজ চলছে। বাকি অংশেও কাজ হবে। তবে বাধ সাধছে রাস্তার ধারে গজিয়ে ওঠা বেশ কিছু দোকান। স্থানীয় সূত্রের খবর, বারুইপুর থেকে কামলগাজি পর্যন্ত সরকারি জায়গায় এ রকম প্রায় শ’খানেক দোকান গজিয়ে উঠেছে। কোনওটি চায়ের, আবার কোনওটি ফাস্ট-ফুডের। এমন পরিস্থিতিতে দোকানগুলি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

সরকারি এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দোকানদারদের অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদারের কথায়, ‘‘স্থানীয় নেতাদের অনুমতি নিয়ে এখানে দোকান দিয়েছিলাম। এ জন্য ইতিমধ্যেই অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এখন এ ভাবে উঠে যেতে হলে আমরা পথে বসব। সরকারের উচিত আমাদের কথাও ভাবা।’’ পদ্মপুকুর বাইপাস এলাকার এক ব্যবসায়ীর দাবি, ‘‘আগে একটু দূরে দোকান ছিল। সেখানে কাজ হবে বলে স্থানীয় নেতারা কয়েক বছর আগে এখানে উঠে আসতে বলেন। এখন এখান থেকেও উঠে যেতে হলে খুবই সমস্যায় পড়ব।’’

পুনর্বাসনের প্রসঙ্গে বারুইপুর (পশ্চিম) বিধানসভার বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি জায়গায় বেআইনি ভাবে যে যার মতো দোকান বসিয়েছেন। নিজের প্রয়োজনে সরকার তো জমি ব্যবহার করবেই। এর মধ্যে পুনর্বাসনের কোনও প্রশ্ন নেই।’’

বারুইপুরের মহকুমা শাসক দেবারতি সরকার জানান, ওই জায়গা সেচ দফতরের। বেআইনি ভাবে ওখানে কিছু দোকান হয়েছে। সেগুলো তুলে দেওয়া হবে। সম্প্রতি এক বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেচ দফতরই দোকানদারদের উঠে যেতে বিজ্ঞপ্তি দেবে। তিনি আরও বলেন, ‘‘সরকারি জমি দখল করে এ ভাবে ব্যবসা করা যাবে না। তাই দোকান সরানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Eastern Metropolitan Bypass
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE