ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুলিশ এলাকায় ভোটের এখনও ঢের দেরি। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা করতে শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। আগামী ১৯ মে কলকাতা পুলিশ এলাকার তিনটি আসন— কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ এবং যাদবপুরে ভোট হবে। কমিশনের নির্দেশে ইতিমধ্যেই এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কলকাতায় এসে পৌঁছেছে।
লালবাজারের খবর, এ বার ভোটে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে বলে মনে করছেন কর্তারা। জওয়ানদের রাখার জন্য প্রতিটি থানাকে পাঁচটি করে জায়গা বাছতে বলা হয়েছে। এর বাইরে ফাঁকা হয়ে যাওয়া আলিপুর জেল এবং ইডেন গার্ডেন্সের গ্যালারির তলাকেও বাছা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কারা দফতরের খবর, পুলিশের তরফে এখনও আলিপুর সংশোধনাগার নিয়ে কোনও চিঠি যায়নি।
লালবাজারের খবর, এ বারের ভোট নিয়ে পুলিশকর্তারা যথেষ্ট ‘তৎপর’। শুক্রবার মাসিক ক্রাইম বৈঠকে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা অধস্তন আধিকারিকদের জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র জমা নেওয়া এবং নির্বাচনী বিধি যথাযথ ভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। কোনও হোর্ডিং নিয়ে অভিযোগ এলে তা সঙ্গে সঙ্গে খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনে দ্রুত খুলে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানার একটি দল আলিপুর জেলে ঘুরে এসেছে। এপ্রিলে সেখানে ফের লালবাজারের একটি দল পরিদর্শনে যেতে পারে। তার পরেই চিঠি দেওয়া হবে কারা দফতরকে। ইডেন গার্ডেন্স ময়দানে অবস্থিত। তাই সেখানে বাহিনী রাখতে হলে সেনার সঙ্গে কথা বলতে হবে।
লালবাজারের খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার বুথ রয়েছে। প্রতি বুথে ন্যূনতম এক জন করে জওয়ানকে রাখতে হলে প্রায় পাঁচ হাজার জওয়ান দরকার। বেশ কিছু স্পর্শকাতর বুথও রয়েছে। এর বাইরে এলাকায় টহলদারি, স্ট্রাইকিং ফোর্স, কুইক রিঅ্যাকশন টিম, স্পেশ্যাল ইন্টারভেনশন টিম, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা এবং স্ট্রং রুমের পাহারাতেও জওয়ানেরা থাকবেন।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কমিশন প্রতি বুথে ন্যূনতম চার জন করে জওয়ানকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। যে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি করেই বুথ রয়েছে, সেখানেও চার জন করে জওয়ানকে রাখা হয়েছিল। চারের কম বুথ থাকলে এক সেকশন বা আট জন জওয়ান থাকতেন। দশের বেশি বুথ থাকলে এক প্ল্যাটুন বা ২৪ জন জওয়ানকে রাখা হয়েছিল। ফলে সব মিলিয়ে এ বারেও বাহিনীর কলেবর ১৫০ কোম্পানি ছাড়াতে পারে।
শনিবার লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখনও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা হয়নি। তাই কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কলকাতার জন্য দরকার, তা ঠিক হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy