Advertisement
E-Paper

‘হাত নড়ছে রে’, মৃতদেহের দিকে তাকিয়েই চেঁচিয়ে উঠলেন ওঁরা! তার পর...

ব্যস! আর যায় কোথায়, সকলে মিলে হই হই করে ওঠেন। মহিলার পরিবারের লোকজনেরা বলতে থাকেন, ‘উনি মরেননি, বেঁচে আছেন!’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:১০
রিঙ্কুর দেহ ঘিরে আত্মীয়-পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র।

রিঙ্কুর দেহ ঘিরে আত্মীয়-পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র।

বছর তেত্রিশের মহিলার দেহটাকে শ্মশানের এক জায়গায় রেখে শবযাত্রীরা সত্কারের বন্দোবস্ত করছিলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ শ্মশানেই ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। অপেক্ষা করছিলেন কখন সত্কারের লাইন পাওয়া যাবে। হঠাত্ই শবযাত্রীদের মধ্যে এক জনের চোখ যায় খাটের উপরে শোয়ানো মহিলার দিকে। সঙ্গে সঙ্গে চেঁচিয়ে ওঠেন তিনি, ‘হাত নড়ছে রে…হাত নাড়াচ্ছেন উনি।’

ব্যস! আর যায় কোথায়, সকলে মিলে হই হই করে ওঠেন। মহিলার পরিবারের লোকজনেরা বলতে থাকেন, ‘উনি মরেননি, বেঁচে আছেন!’ মহিলার দেহ ঘিরে সবাই ঝুঁকে দেখতে শুরু করে দেন। ভিড়ের মধ্যে থেকেই কাউকে বলতে শোনা যায়, ‘ওঁকে হাওয়া দিন, হাওয়া দিন’। এক আত্মীয় আবার মহিলার মাথায় হাওয়া করতেও শুরু করেন। হাওয়া আসার জন্য ভিড়ও সরিয়ে দেওয়া হয়! কেউ কেউ আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেন। গোটা পরিস্থিতিকে ঘিরে নিমতলা শ্মশানে হুলুস্থূল পড়ে যায়। আর দেরি না করে মহিলার দেহ তুলে নিয়ে হাসপাতালে ছুট লাগান আত্মীয়রা। কিন্তু হাসপাতাল থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় মহিলা অনেক ক্ষণ মারা গিয়েছেন। হাত-পা নড়ে ওঠার কোনও প্রশ্নই ওঠে না!

বাগুইআটির বাসিন্দা রিঙ্কু ঘোষ (৩৩)। বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন রিঙ্কু। হাসপাতালের যাবতীয় নিয়ম-কানুন সেরে মহিলার দেহ নিয়ে ওই দিন রাতেই সত্কারের জন্য নিমতলা শ্মশানে নিয়ে যান তাঁর আত্মীয় ও পড়শিরা। রাত তখন প্রায় দুটো। রিঙ্কুর দেহ রেখে সত্কারের বন্দোবস্ত করছিলেন শবযাত্রীরা। তখনই এই কাণ্ড ঘটে।

দেখুন সেই ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু, প্রশ্নে পুর-দাবি

চিকিত্সকরাও তাজ্জব হয়ে যান মহিলার আত্মীয়দের কথা শুনে। ভাল করে পরীক্ষা করে দেখা হয় দেহ। কিন্তু না, প্রাণের কোনও চিহ্নই মেলেনি রিঙ্কুর দেহে! চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, মহিলা দীর্ঘ ক্ষণ আগেই মারা গিয়েছেন। শেষমেশ ফের রিঙ্কুর দেহ নিয়ে নিমতলা শ্মশানের উদ্দেশে ফের রওনা হন তাঁর আত্মীয়রা। এমন কাণ্ডের খবর পুলিশের কাছেও পৌঁছায়। অবশেষে পুলিশের উপস্থিতিতে রিঙ্কুর দেহ সত্কার করা হয়।

আরও পড়ুন: নজর রাখতে প্রতি বাড়িতে ডেঙ্গি-কার্ড

(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনা, কলকাতার আবহাওয়া, কলকাতার হালচাল জানতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

Dengue Baguiati Nimtala Burning Ghat ডেঙ্গি নিমতলা বাগুইআটি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy