উত্তাল: ‘তিতলি’র দাপটে ফঁুসছে সুমদ্র। বৃহস্পতিবার দিঘায়। নিজস্ব চিত্র
কলকাতা পুরভবনে সেই সাতসকালে ঘরগুলির তালা সবে খোলা হয়েছে। সেই থেকে টিভি-র পর্দায় চোখ রেখে বসে ছিলেন তিনি। চোখেমুখে আতঙ্ক। কলকাতায় থাকলেও তাঁর তখন মন প়ড়ে আছে ওড়িশায়। সেখানে রয়েছেন তাঁর বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী-পুত্র। পুর কেয়ারটেকার বিভাগের কর্মী বীরেন্দ্রকুমার দাসকে আশ্বস্ত করতে সহকর্মীরা সমানে খোঁজ নিয়ে চলেছেন তাঁর প্রিয়জনদের।
টিভি থেকে চোখ না-সরিয়েই বীরেনবাবু জানান, পরিবারের জন্য পুজোর নতুন জামাকাপড় কিনেছেন। আজ, শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে তাঁর গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় তিতলি সব ভেস্তে দিয়েছে। একের পর এক ট্রেন বাতিল হওয়ায় কবে বাড়ি যেতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন বীরেনবাবু।
প্রতিদিন সকাল ৮টা নাগাদ পুরসভার সদর দফতরের সব ঘরের তালা খোলা বীরেনবাবুর কাজ। রাত ৮টায় পুরভবনের পাখা, আলো নিভিয়ে সব ঘর বন্ধও করেন তিনি। বালেশ্বরের সুন্ধ্রিয়া গ্রামে তাঁর বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও কলেজপড়়ুয়া ছেলে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাবনায় বুধবার সারা রাত ঘুমোতে পারিনি।’’
বৃহস্পতিবার সকালেই ওড়িশার গঞ্জাম জেলার গোপালপুরের সমুদ্রতটে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়। গোপালপুরের কাছেই বীরেনবাবুর বাড়ি। ‘‘সকালে অনেক চেষ্টা করে মাত্র এক বার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি। শুধু বলেছিল, ভীষণ বৃষ্টি হচ্ছে। তার পরেই ফোন কেটে গিয়েছে,’’ বলেন উদ্বিগ্ন বীরেনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy